রাঙামাটিতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ১২ জন

NewsDetails_01

রাঙামাটি পোষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় তিনটি ঘরের উপর একটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে
অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন রাঙামাটির তিন পরিবারের ১২ সদস্য। বুধবার ভোরে রাঙামাটি পোষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় তিনটি ঘরের উপর ১ শত ফুট উচ্চতার একটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে। এতে ঘরগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়, ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে পরিবারের সদস্যরা অক্ষত আছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোতে ভাড়ায় থাকতেন সুকুমার শীল, নারায়ন দে ও মো. কামাল হোসেনের পরিবার। তারা জানান, ভোর ৪ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। তখন সকলেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমন সময় বিকট শব্দে গাছটি তিনটি ঘরের উপর আছড়ে পড়ে। কাচাঁ ঘর হওয়ায় সাথে সাথে ঘরের চাল গাছের চাপে দেবে যায়। এ পরিস্থিতিতে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনরকমে প্রাণ নিয়ে বের হয়ে এসেছি। তা নাহলে সবাই মারা পড়তাম। পরিবারের সদস্যদের মাঝে এখনো আতংক কাজ করছে।
বাড়ির মালিক সৌরঞ্জিৎ চৌধুরী বিশু জানান, আমার বাড়ি ঘেঁেষ জেলা পোষ্ট অফিসের সীমানা দেয়াল। এ দেয়ালটি ২০০৫ সালে একবার ধসে পড়েছিল আমার ঘরের উপর। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেয়াল ঘেঁষে ১৫ থেকে ২০টি বড় বড় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলোর বিষয়েও পোষ্ট মাষ্টারকে অবহিত করেছিলাম। কিন্তু অদ্যবদি তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাদের অমনোযোগীতা ও অবহেলার কারণে আজকের ঘটনায় অনেকগুলো মানুষ মারা যেত। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপুরণের দাবি জানান। ঘটনায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে বাড়ির মালিক জানান।
এ বিষয়ে জেলা পোষ্ট মাষ্টার আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি সকালে জেনেছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও ক্ষতিপুরণের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র গাছ কর্তনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এ অফিসের আগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলার কারণে বিষয়টির এতদিন কোন সুরাহা হয়নি। তবে আজ বুধবার সকালে দক্ষিন বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে ঝুকিপূর্ণ গাছের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা করছি।
রাঙামাটি দক্ষিন বন বিভাগের ফরেষ্টার শাহিন মিয়া জানান, পোষ্ট অফিস থেকে যোগাযোগ করা হলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলি এ্যাসেসমেন্ট করে এসেছি। অনেকগুলো গাছ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আজ বিকালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের তালিকা, মুল্য নির্ধারন ও কর্তন সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছিয়ে দেব।

আরও পড়ুন