কাপ্তাইয়ে হাতি আতংকে স্থানীয়রা

NewsDetails_01

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালার অধিবাসীরা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বন্যহাতির উপদ্রবে। এলাকায় বন্যহাতি পাল দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করে বাগান-বাগিচা, ধানক্ষেত সহ বিভিন্ন ক্ষেত খামার ফসলাদি ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে এমনকি গ্রামের ঘরবাড়িও নষ্ট করে দিচ্ছে। বিগত বছরেও হাতির আক্রমনে কয়েকজন নিহত হয়েছে এই এলাকায়। হাতির এমনতা উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্থের পুরনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এই এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েকজন গণস্বাক্ষরিত চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বরাবরে একটি লিখিত আবেদন জানায়।
উক্ত আবেদনে সুপারিশকৃত ডংনালা ৬নং‌ ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু মংনুচিং মারমা উক্ত বিষয়ে এই প্রতিবেদকে জানান, ডংনালা ও পার্শবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে ৪০-৪৫ টি মতো একটি বন্য হাতিপাল দিনের বেলায় ধলিয়াপাড়া, পুর্বকোদালা চা বাগান সীমানা, হাতিমারা পাড়া মুখের সীমানায় অবস্থান করে এবং রাতের বেলায় ডংনালা লামার পাড়া, তংসীপাড়া, মুলুক্যাপাড়া সহ আশেপাশে এলাকায় প্রবেশ করে ধানক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলাদি ক্ষয়ক্ষতি করে দিয়ে থাকে। এমনসময়ে এলাকাবাসীদের না ঘুমিয়ে সতর্কতায় থাকতে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বিগত কয়েকদিন আগে এই বন্য হাতিদলে ১৫০- ১৭০টি ছিল। এই হাতির পাল হতে কিছু চলে গিয়ে বর্তমানে ৪০-৪৫ টি অবস্থান করছে। এই এলাকায় বছরের সব ঋতুতে হাতির উপদ্রব বাড়ে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। এই বিষয়ে তিনি ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা ও হাতির উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করেন।
২নং রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সায়ামং মার্মা বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন,বন্যহাতির উপদ্রবে এই এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। লোকজন আতংকে দিন কাটাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বন বিভাগের কোদালা বিটের রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, গহীন বনে খাদ্য না পেয়ে বন্যহাতির দল প্রায় লোকালয়ে হানা দিয়ে মানুষের ক্ষেত খামার, পাঁকা ধান খেয়ে ফেলছে।।

আরও পড়ুন