পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক সমস্যা : উষাতন তালুকদার

NewsDetails_01

রাঙামাটিতে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু এবং বিহু উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালি
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক সমস্যা, এখানে শাসনতান্ত্রিক অধিকার নাই। সরকারের পলিসি লেভেলে আমাদের ভুমিকা নাই। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গনে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু এবং বিহু উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উদ্বোধকের বক্তব্যে রাঙামাটি আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা।
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু এবং বিহু উদযাপন কমিটির আহবায়ক অবসর প্রাপ্ত উপ-সচিব প্রকৃত রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা,পার্বত্য চট্টগ্রাম লেখক ফোরাম ও জাক এর সভাপতি শিশির চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, চাকমা সার্কেল রাজ পুত্র ত্রিভূবন আর্যদেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উৎসব উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ইন্টু মণি চাকমা।
এমপি আরও বলেন, চুক্তির বিশ বছর পার হয়েছে। সরকার বলে চুক্তির বেশির ভাগ ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমরা চুক্তি কতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে সেটা বলবো না, আসল চুক্তিটা বাস্তবায়ন করেন। ভূমি সদস্যা সমাধান করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দেশ, দেশের মানুষ তথা পাহাড়ের অবস্থা ভাল নেই। চারদিকে অভাব-অনটনে মানুষ দিনাতিপাত করছে। এজন্য উরু উরু মন দুরু দুরু বুকে পাহাড়ের মানুষ এ বছর বিজু পালন করবে।এমপি ঊষাতন আরো বলেন, ‘সাপ, বাঘ নিজেকে বাঁচাতে যেমন কামড় দেয় তেমনি পাহাড়ের মানুষও নিজেকে বাঁচাতে কামড় দেয়।’
উষাতন তালুকদার স্থানীয় প্রশাসনের আমলাদের উদ্দেশ্য বলেন, পার্বত্যঞ্চল একটি বিশেষ অঞ্চল। উনিশশো সালের প্রথা অনুযায়ী এখানে শাসন বিধি পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে আসার আগে পার্বত্যঞ্চল সম্পের্কে ওরিয়েনটেশন করার জন্য আমলাদের পরামর্শ প্রদান করেন এ এমপি।
তিনি আক্ষেপের সাথে বলেন, লংগদু ট্রাজেডীর অনেকদিন পার হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকার বাড়ি নির্মাণের জন্য টেন্ডার দিয়েছে। কেউ টেন্ডারে অংশ নেয়নি। কিন্তু সরকারের কাছে সমাধানের পথ খোলা রয়েছে। সরকার চাইলে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। এমপি জানান, আশায় বুক বেঁধে আছি, নতুন বছরে পাহাড়ে শান্তি, স¤প্রতি বজায় থাকুক এটাই কামনা।
আলোচনা সভা শেষে পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।

আরও পড়ুন