খাগড়াছড়ির আলুটিলা বিশেষ পর্যটন জোন স্থাপনের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার তিনটি মৌজার ৬৯৯.৯৮ একর জমিতে যুগ যুগ ধরে বসবাসকারী জুম্মদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে আলুটিলা বিশেষ পর্যটন জোন স্থাপন করতে চলেছে। এটি চুক্তি ও জুম্মদের প্রথাগত ভূমি অধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। চুক্তি, প্রথাগত ও আন্তর্জাতিক আইনে উল্লেখ রয়েছে- আদিবাসী সম্মতি ব্যতিত আদিবাসীদের নিজ চিরায়ত ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা যায় না, তাদের চিরায়ত ভূমি অধিগ্রহন কিংবা বেদখল করতে পারে না। বক্তাগন জুম্মদের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সরকারের উদ্যোগকে জোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।
খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সদস্য সৌখিন চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি বাচ্চু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি টোয়েন চাকমা, জেএসএস রাঙামাটি জেলার শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরৎ জ্যোতি চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উদয়ন ত্রিপুরা ।
বক্তারা আরো বলেন, গত ৮০-৯০ দশকে খাগড়াছড়ি বন বিভাগ আলুটিলায় প্রায় এক হাজার একর জুম্মদের চিয়ারত ভূমি বেদখল করে পরিবেশ বিরোধী সেগুন বাগান সৃজন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সল্ট প্রকল্পের নামে ৩০০ একর, খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি ৭.০০ একর এবং কতিপয় বাঙালী জুম্মদের চিরায়ত ভূমি বেদখল করে বাগান সৃজন করেছে। অবৈধভাবে সৃজিত এসব বাগান বাতিল ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মূল মালিকের নিকট ফেরত প্রদানের দাবী জানায়।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার আলুটিলা এলাকা জুম্মদের একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এই এলাকায় জুম্ম আদিবাসীরা শত শত বছর ধরে বসবাস করে আসছে। এই আলুটিলা এলাকায় বিশেষ পর্যটন জোন স্থাপন করা হলে এলাকার বহু গ্রাম উচ্ছেদ হবে এবং হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।