জ্বালানী তেল সংকট : রাঙামাটিতে হাহাকার

NewsDetails_01

রাঙামাটিতে তেলের পাম্প বন্ধ
প্রবল ভারী বর্ষন ও ভুমি ধসের কারনে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় রাঙামাটিতে জ্বালানী তেল শুন্য হয়ে পড়েছে। জ্বালানী তেল যৎ সমান্য পাওয়া গেলেও আকাশচুম্বী দাম।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে,বেশিরভাগ তেল পাম্পে তেল সংকট দেখা দিয়েছে। তেল সংকটের কারনে অনেক পাম্প বন্ধ হয়ে গেছে। খুচরা তেলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। তবে ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে, হিল ভিউ পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার ইসমাইল জানান,মানুষের এ দুর্যোগে আমরা নায্য মুল্যে জ্বালানী তেল বিক্রয় করছি। যথারীতি আমরা অকটেন ৮৯ টাকা ,ডিজেল ৬৫ টাকায় বিক্রয় করেছি। এখন তেল না থাকায় পাম্প বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়া কারন সম্পর্কে তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় তেল আনতে না পারায় পাম্প বন্ধ হয়েছে।
স্থানীয় সিএনজি অটোরিক্সা চালক সেলিম জানান, রাঙামাটিতে তেল সংকটের কারনে আমরা গাড়ী চালাতে পারছি না। ফলে কালো বাজারীদের কাছ থেকে ১৮০-২০০ টাকা দামে অকটেন কিনতে হচ্ছে। যার কারনে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে।
ড্রাইভার সালাম জানান,তেল সংকটের কারনে আজকে গাড়ী চালানো বন্ধ করে দিব, যারা কালোবাজারীদের কাছ তেল মজুদ করেছেন তারা আগামীকাল নাগাদ গাড়ী চালাতে পারবে।
যাত্রী চৌধুরী হারুনুর রশীদ জানান, এখন রাঙামাটি শহরের সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া দ্বিগুন বেড়ে গেছে, আমরা বর্তমানে কি ধরণের দুর্ভোগে আছি,তা কাউকে বলে বুঝানো যাবেনা ।
এদিকে, রাঙামাটি জেলা অটোরিক্সা চালক কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, মানুষের সংকটের মুহুর্তে কাউকে জিম্মি করে টাকা আয় করা উচিৎ নয়। আর কোন ড্রাইভার যদি এভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে এমন অভিযোগ পেলে আমি ঐ ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী জানায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাথে চট্টগ্রাম,বান্দরবানসহ অন্য জেলার সংযোগ সড়কে ১৪৫টি ধস হয়েছে। সড়ক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরার কারণে নিত্যপণ্যসহ সব কিছুর দাম বাড়ছে জেলাটিতে।

আরও পড়ুন