অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে এক কাতারে পার্বত্যবাসী

NewsDetails_01

অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল
সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারীদের জিম্মীদশা থেকে মুক্তি চায় পার্বত্যবাসী। পাহাড়ের নিরীহ মানুষের জীবন জীবিকা নিরাপদ করতে অনতিবিলম্বে চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল ধরণের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হোক, অন্যথায় সাধারণ মানুষ আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হবে। রোববার রাঙামাটির জিমনেসিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত এক বৃহত্তম মহাসমাবেশ থেকে এই দাবি জানায় নেতৃবৃন্দ।

‘নির্যাতিত নিপীড়িত পার্বত্যবাসীর’ ব্যানারে আয়োজিত মহা সমাবেশে বেগম নুরজাহানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, বেগম নুর জাহান, এডভোকেট আবছার আলী, মোঃ ইউনুছ, মোঃ নাদিরুজ্জামান, রূপ কুমার চাকমা, মার্গারেড পাংখোয়া, ইঞ্জিনিয়ার সাহাদাৎ ফরায়জী সাকিব, জাহাঙ্গীর আলম, উজ্জল পাল, আলমগীর হোসেন, সোহেল রিগ্যান, আব্দুল মান্নান ও মোর্শেদা বেগমসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা কাজী মোঃ জালোয়া।

NewsDetails_03

সমাবেশের আগে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিমনেসিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ করছি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারীদের অত্যাচারে নিপীড়িত পার্বত্য বাসী যখন প্রায় জিম্মী হয়ে পড়েছে, পাহাড়ে প্রতিনিয়ত হত্যা-গুমসহ অপহরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে, তখনও এক শ্রেণীর অতি উর্বর মস্তিস্কের বুদ্ধিজীবী নির্যাতিত মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে না ধরে উল্টা সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। মানবাধিকার কমিশনসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো সন্ত্রাসীদের পক্ষে বিতর্কিত অবস্থান নিচ্ছেন। যা সভ্য সমাজে শোভনীয় নয়।

বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন আমরা দেখতে পাচ্ছি ছাদেকুল ও মোহিনী ত্রিপুরার মতো নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে এসব মানবাধিকার সংস্থা রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা থাকছেন, পক্ষান্তরে অস্ত্রবাজদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে তারা সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। তারা জাতীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে পার্বত্যবাসীর দুঃখ দেখার জন্য আপনারা পাহাড়ে কয়েক রাত কাটিয়ে যান, আমাদের জিম্মীদশা স্বচক্ষে দেখতে পাবেন।

আরও পড়ুন