১০ টাকার চাল নেতাকর্মীদের ‘মোটাতাজাকরণ’ প্রকল্প

NewsDetails_01

dudu_27571_1476347274সরকার ঘোষিত ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচিকে ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মোটাতাজাকরণ প্রকল্প’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন।
কম দামে চাল প্রকল্পে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ডিলার নিয়োগ থেকে শুরু করে চাল বিতরণে তালিকা প্রণয়ন, বিতরণ সবই দলীয়ভাবে করা হয়েছে।
দুদু বলেন, এই চালের বিপণন কার্ড পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আত্মীয়স্বজন, নিকটজন এবং তাদের সমর্থক ধনী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিরা। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কার্ডধারী ব্যক্তিরা এই চাল নিয়ে চড়ামূল্যে পাইকারী বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রভাবশালী মহল তা কিনে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরকারি গোডাউনে বিক্রি করার জন্য মজুদ করছে। এছাড়া চাল বিপণনের ক্ষেত্রেও ওজনে কম দেয়া হচ্ছে। ৩০ কেজি চাল দেয়ার টিপসই নিয়েও আট/দশ কেজি দেয়া হচ্ছে। এই চাল খোলা বাজারে বিক্রির ঘটনাও ঘটেছে এবং চালের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শামসুজ্জামান বলেন, জনগণ মনে করে এটি সরকারের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণকে প্রতারণার করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদেরকে লাভবান করার পরিকল্পিত সরকারি স্বার্থসিদ্ধির পাঁয়তারা। নিজেদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মোটাতাজাকরণ প্রকল্প।
তিনি বলেন, এই চাল গরিব মানুষদের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও বিপণনের প্রক্রিয়ায় যা হচ্ছে, এটাকে লুটপাট আখ্যা দেয়া যায়। অবিলম্বে এ দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করার দাবি জানান বিএনপির এ নেতা।
দুদু বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে জনগণের কাছে ওয়াদা করেছিল তারা ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকা সের হিসেবে চাল, বিনা মূল্যে সার দেবে। ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে। ঘরে ঘরে চাকুরি ও দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখবে।
কিন্তু ক্ষমতার সাত বছর পার করলেও ১০ টাকা সেরের চাল প্রদান তো দূরের কথা বিগত দিনে তাদের আমলে মোটা চালের মূল্য ৪০ ও অন্যান্য চাল ৫০/৬০ টাকায় কিনে খেতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাড়ে সাত বছর পর সীমিত সংখ্যক মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে মূলত: এখন তারা লুটপাট তন্ত্রের মহাযজ্ঞ শুরু করেছে। সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : যুগান্তর

আরও পড়ুন