পয়সা বাঁচানোর ৭ উপায়

NewsDetails_01

50_wallet_20072014_0001‘আয় বুঝে ব্যয়’ করা এই যুগে বেশিরভাগ সময়েই হয়ে ওঠে না। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে খরচের মাত্রা কমানো সম্ভব। ব্যয় যাতে আয়ত্তের মধ্যে থাকে সেই উপায় জানিয়েছে লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
কার্ডে পেমেন্ট না করা: ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিল পরিশোধ করা সহজ। তবে এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে খরচের হিসাব রাখা সম্ভব হয় না। পাশাপাশি নগদ টাকা খরচ করলেই যে আপনি কৃপণ হয়ে যাবেন এমনটাও নয়।
অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ রাখা: কিছু বৈদ্যুতিক যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া থাকলে ব্যবহার না করলেও তা বিদ্যুৎ অপচয় করে। পরিমাণে কম হলেও এই যন্ত্রগুলো আপনার বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়।
পুরানো অব্যবহৃত জিনিস বিক্রি করে দেওয়া: পুরানো জিনিস ব্যবহার না করলেও তার মায়া কাটাতে কষ্ট হয় অনেকের। তবে প্রয়োজন না থাকলে এগুলো বিক্রি করে দিন। এত যেমন বাড়তি কিছু পয়সা পাবেন, তেমনি নতুন কোনো শখ পূরণ করতেও আর্থিক সহযোগিতা পাবেন।
ভাউচার ও ডিসকাউন্ট অফার সম্পর্কে জানা: যে কোনো কিছু কেনার আগে ওই পণ্যে কোথাও কোনো মূল্যছাড় চলছে কীনা বা ব্যবহারযোগ্য কোনো গিফট ভাউচার পাওয়া যাবে কীনা খোঁজ নিতে পারেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনার জন্য দোকানের মূল্যছাড়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করা: অনলাইনে খবর পড়লে বাসায় সংবাদপত্র নেওয়া বাদ দিন। ব্যায়ামাগারে নিয়মিত না গেলে সদস্যপদ বাতিল করে দিন। এ ধরনের আরও কোনো পয়োজনীয় খরচ থাকলে সেগুলো বন্ধ করতে হবে।
মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ: নিজের প্রয়োজন অনুযায়ি মোবাইল প্ল্যান ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে সব অপারেটরের রয়েছে বিভিন্ন প্ল্যান। এরমধ্য থেকে নিজের চাহিদা অনুযায়ি প্ল্যান বেছে নিন। বাসায় ওয়াইফাই থাকলে সিম ইন্টারনেট ব্যবহার বাদ দিন বা ছোট ডাটা প্যাক কিনুন।
রেস্তোরাঁয় খাওয়া: প্রতিদিন রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার না খেয়ে বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীর ও আর্থিক অবস্থা উভয়ই স্বাস্থ্যবান থাকবে। প্রতিদিন রান্না করা সম্ভব না হলে একদিন বেশি রান্না করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। সূত্র : বিডিনিউজ২৪

আরও পড়ুন