সাজেকে সংকট মোকাবেলায় ১০ মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য বরাদ্ধ দিয়েছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়

NewsDetails_01

রাঙামাটির দূর্গম সাজেক ইউনিয়নে জুমিয়া পরিবার গুলোতে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সূত্র পাহাড়বার্তাকে জানান, বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুকুলে ১০ মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য বরাদ্ধ প্রদান করেছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আরো বরাদ্ধ দেওয়া হবে।
খারাপ আবহাওয়ায় জুমের ফলন ভাল না হওয়া এবং প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাসের কারনে আদিবাসীদের আয় কম হওয়ার কারনে রাঙামাটির সাজেকের দূর্গম গ্রামে অভাব দেখা দেয়। সাজেকের পুরান জোপুই, নতুন জোপুই, উদলছড়ি, পুরান থাঙনঙ, নতুন থাঙনঙ থারুম পাড়াসহ ২০টির মতো গ্রামের মানুষ আর্থিক অভাবের কারণে চাল কিনতে পারছেনা। এসব গ্রামে প্রতি কেজি চাল বিক্রী হচ্ছে ৯০-১১০টাকা। জরুরী ভিত্তিতে যদি দূর্গত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করা না যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
সাজেকের উদলছড়ি গ্রামের হৃদয় রঞ্জন ত্রিপুরা জানান, পাহাড়ে জুম চাষ ও বনজ সম্পদ আহরণ করে আমরা জীবিকা চালায় কিন্তু জুম চাষে ফসল কম উৎপাদন হওয়ার কারণে কজতলী গ্রামসহ অনেক গ্রামে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুম চাষ, বাঁশ ও বনজ সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে সাজেকের আদিবাসীরা। অধিকাংশ গ্রামে এখনও পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থ্যা গড়ে উঠেনি। গ্রামগুলো এতোই দূর্গম যে, গ্রামগুলো থেকে হাঁটা পথে মাচালং বাজার আসতে তাদের সময় লাগে ৩ থেকে ৪দিন।
এই ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি পাহাড়বার্তাকে বলেন, রাঙামাটির সাজেকের সাময়িক সংকট মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি আছে, প্রয়োজনে আরো খাদ্যশষ্য বরাদ্ধ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন