নৌকা কেন ঠেকাতে হবে, প্রশ্ন শেখ হাসিনার

NewsDetails_01

একটি মহল নৌকা ঠেকাতে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নৌকা কেন ঠেকাতে হবে? নৌকার অপরাধ কি? সামনে শ্রাবণ মাস। বর্ষার সময়, বন্যার সময়। নৌকা তো লাগবে। যেসব রাজনীতিকরা নৌকা ঠেকাতে নেমেছেন তাদের বন্যার সময় রিলিফ বিতরণ করতে ও চলাচল করতেও তো নৌকাই লাগবে। শনিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে জনগণ ভাষার অধিকার পেয়েছে। দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। দেশের উন্নয়ন হয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে নাম লিখিয়েছে। পারমাণবিক ও স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে। আমার প্রশ্ন নৌকা ঠেকিয়ে কি রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনবেন? যারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তাদের মুখে একথা মানায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এনেছি। স্থানীয় ও জাতীয়সহ এ পর্যন্ত যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। গণতন্ত্র যদি না থাকে তবে জনগণ ভোট দিয়েছে কিভাবে?’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে তা আমি বরদাস্ত করবো না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এগিয়ে যাওয়ার ধারা আমরা যাতে অব্যাহত রাখতে পারি।’ তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করায় একটি মহল সমালোচনায় মেতেছে। যারা এটাকে সন্দেহের চোখে দেখে, সমালোচনা করে তাদের সম্পর্কে আমার মনে হয়, তারা দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্ব শিকার করে না।’

NewsDetails_03

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন,‘আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে অনেকগুলো গণমুখী কাজ শুরু করি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেগুলো বন্ধ করে দেয়। আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবার তা শুরু করি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের ‍উন্নয়ন।’
‘আমরা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আজকে গণসংবর্ধনার কোনও প্রয়োজন নেই। সংবর্ধনা উৎসর্গ করছি বাংলাদেশের মানুষকে। আমার জীবনের একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করা, সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া। সেটা শুধু বিত্তশালীদের জন্যই নয়। একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের উন্নতির জন্য,’ বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দেওয়া গণসংবর্ধনার জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার রাজনীতি বঞ্চিত মানুষের জন্য। যেদিন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবো। সেদিন নিজেকে স্বার্থক মনে করবো।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজের জন্য মাত্র ৫ ঘন্টা সময় ব্যয় করি। কোনও উৎসবে আমি যাই না। প্রতিটি মুহূর্ত কাজ করি দেশের মানুষের জন্য । মৃত্যুভয় আমি করি না। মৃত্যুর আগে মরতেও রাজি নই। যতক্ষণ জীবন আছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যবো। যে মানুষের জন্য আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছি। বেহেস্ত থেকে আমার বাবা তা দেখবে।’

ণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মাননাপত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পাঠ শেষে তিনি তা প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের আগে সভামঞ্চে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। নৃত্য, শেখ হাসিনা নিয়ে গান, কবিতা আবৃত্তি করা হয়। গানের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন