চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোটা বহালের দাবি

NewsDetails_01

সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। কোটা বাতিল করা হলে পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠী আরও পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করে সংগঠনটি।

বুধবার ঢাকায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এই দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তৃতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য কোটা রাখার বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সরকারের করা কমিটি ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়। তাতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রাখার সুপারিশ করা হয়। কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের তাঁদের সুপারিশের কথা জানিয়েছিলেন। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সুপারিশ উত্থাপন করা হবে। এ নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা রাখা সাংবিধানিক অধিকার। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা এখনো পিছিয়ে বা অনগ্রসর রয়েছে বলেই সংবিধান অনুসারে বিশেষ বিধানের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এ সময় বিভিন্ন দেশে কোটা থাকাসহ বিভিন্ন যুক্তি তুলে তুলে ধরা হয়।

NewsDetails_03

সংবাদ সম্মেলনে এই দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য অমানবিক।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য কোটা বহাল রাখার দাবিকে ন্যায্য বলে মনে করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরিবর্তন আনা হলেও তাদের অসম্মান হয় এমন কিছু করা উচিত হবে না বলে তিনি মনে করেন। সাংসদ বাদশা বলেন, সমাজে সব দিক দিয়ে ভারসাম্য আনতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোটা প্রয়োজন থেকেই করা হয়। আজ কি প্রয়োজন পুড়িয়ে গেছে? আসলে আমলারা জনবিচ্ছিন্ন। তারা মাটি থেকে কত দূরে তা তাদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়।’ তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোটা বহাল রাখা দরকার এবং তা অধিকতর কার্যকর করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক নোমান আহমেদ খান, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং প্রমুখ।

আরও পড়ুন