আওয়ামী লীগের আসন্ন ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন থাকার সম্ভবনা কম। তবে প্রায় এক ডজন নতুন মুখ আসতে পারে এই সম্মেলন থেকে।
দলটির নীতি নির্ধারণী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সদস্য ও ৩৩ শতাংশ নারী কোটা পূরণ করতে প্রায় এক ডজন পদে আসতে পারে নতুন মুখ। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলটির ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, তরুণ ও ত্যাগীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৭টি সাংগঠনিক সম্পাদক পদ রয়েছে। তবে ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক ১০ করার প্রস্তাব দেয়া হবে।
গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী আগামী সম্মেলনে ময়মনসিংহ বিভাগে একজন সাংগঠনিক সম্পাদক পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ফরিদপুর ও কুমিল্লা পৃথক দুটি নতুন বিভাগে গঠন করার আলোচনা রয়েছে সরকারের মধ্যে। বিভাগ দুটি গঠন করা হলে আরও দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদ সৃষ্টি হবে। আগামী সম্মেলনের গঠনতন্ত্র সংক্রান্ত সংশোধনীতে এমনটা উল্লেখ থাকবে বলেও জানিয়েছে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।
বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা শাহে আলম, ইসহাক আলী খান পান্না, পংকজ দেবনাথ ও খলিলুর রহমান খলিলের নাম শোনা যাচ্ছে।
খুলনা বিভাগে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নতুন মুখের মধ্যে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন, বীরেন শিকদার, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সাইফুজ্জামান শিখর ও আব্দুল মজিদ।
চট্টগ্রাম বিভাগে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আতাউর রহমান কায়সার পরিবারের একজন, মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, শাহজাদা মহিউদ্দিন, সীমান্ত তালুকদারের নাম আলোচনায় আছে।
রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় রয়েছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ইসরাফিল আলম, হাসান কবির আরিফ, কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি ও উমা চৌধুরী।
রংপুর বিভাগে মাহবুবা আরা বেগম গিনি, রাশেক রহমান, মাহমুদ হাসান রিপন, নুরুল ইসলাম সুজন। ময়মনসিংহ বিভাগে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুব হক শাকিল, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন ও মারুফা আক্তার পপি।
নতুন বিভাগ হলে ফরিদপুর বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে নতুন মুখ উঠে আসতে পারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাহালুল মজনুন চুন্নু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, ইকবাল হোসেন অপু, বাহাদুর বেপারি, নাহিম রাজ্জাক, আনোয়ার হোসেন ও শাহাবউদ্দিন ফরাজী।
কুমিল্লা বিভাগের আলোচনায় আছেন জহির উদ্দিন মোহাম্মদ লিপ্টন, শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু।
ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে আসতে পারেন ঢাকা মহানগরের কোরো তরুণ সংসদ সদস্য। অন্য কোন বিভাগের কাউকেও দেয়া হতে পারে ঢাকার দায়িত্ব। তবে এ বিভাগে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর নাম বেশ আলোচনায় রয়েছে।
কার্যনির্বাহী পদে আলোচনায় আছেন জাহিদ আহসান রাসেল ও মনিরুজ্জামান মনির।
দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী সম্মেলনে বেশ কিছু নতুন মুখ উঠে আসতে পারে। আর সেক্ষেত্রে অতীতে দলের জন্য অবদান রাখা নারী নেত্রীদের মূল্যায়ণ করার কথা ভাবছে দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী নেত্রী হিসেবে যুক্ত হতে পারে এমন আলোচনায় রয়েছেন দলটির মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রওশন জাহান সাথী, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মেহের আফরোজ চুমকি, তারানা হালিম, নুরজাহান বেগম মুক্তা, ওয়াসিকা আয়শা খান, উমা চৌধুরী, নাজমা আক্তার ও আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রমুখ। সূত্র : জাগোনিউজ