গত জুনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়। এর আগে কমিটির ২১তম সভায় বয়স ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, সোমবারের বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সুপারিশ বাস্তবায়নে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়টি সরকারি নীতি-নির্ধারণী সম্পর্কিত। এ বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এই প্রেক্ষাপটে সংসদীয় কমিটি আবারও চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার সুপারিশ করলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য সারসংক্ষেপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পায়নি। এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকের বৈঠকে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সরকারি নির্ধারিত ফি অনলাইনের মাধ্যমে জমা দেওয়া এবং জমি নিবন্ধনের ফিসহ অন্যান্য বিষয় স্বচ্ছ করার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরী, র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুল্লাহ, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও খোরশেদ আরা হক বৈঠকে অংশ নেন।
