দেশে গুগল, ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের ৩৫ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে। তবে এসব বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে কিভাবে কর আদায় করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব পেশ করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে অনেক অর্থ আয় করছে। এ সত্বেও তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছি না। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন বিধায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিলো না। এবার তাই ‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেইসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর করারোপের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনী বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হলো।’
তিনি আরো জানান, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এবং ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের কারণে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের ধরণ ও আকারে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বেশি উন্মুক্ত। ফলে কর পরিহারের ঝুঁকি বেড়েছে। তাছাড়া কর ব্যবস্থাকে আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক করার অনেক উদ্যোগের কথা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই অর্থবছর হতে করদাতাকে ই-মেইলে নোটিশ প্রেরণের বিধান কর আইনে সংযোজন করার প্রস্তাব করা হলো।