খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ: এক মেরুতে আনন্দ, অন্য মেরুতে ক্ষোভ

NewsDetails_01

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ী সম্প্রদায়ের অন্যতম সামাজিক উৎসব বৈসাবি
খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে পাহাড়ী সম্প্রদায়ের অন্যতম সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু)। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীরা যেন উৎসবমুখর পরিবেশে বৈসাবি উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়ে আসছে। পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দু’বছর ধরে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগে গ্রæপিং তৈরী হওয়ায় বৈসাবি উদযাপন নিয়ে এক মেরুতে আনন্দ ও অন্য মেরুতে ক্ষোভ চলছে। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সমর্থিতরা পার্বত্য জেলা পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছে। যার কারণে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাধারণ সম্পাদক মো: জাহেদুল আলমের সমর্থকদের।
সরকারি বরাদ্দ দিয়েই বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে মঙ্গলবার সকালে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সমর্থিতরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রায় জেলার বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। একই সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সমর্থিতরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বৈসাবি উদযাপনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে সরকারে দেয়া এগার শ মেট্টিক টন খাদ্য শস্য ও ২৫ লক্ষ টাকা হরিলুটের অভিযোগ তুলে তার হিসাব চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহেদুল আলমের সমর্থকরা।
মানববন্ধন কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহেদুল আলম এবং শোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষের কর্মসূচি পÐ করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। পরিষদ বিধি মোতাবেক পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন