খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দশটি দোকান ভস্মিভুত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন খেদাছড়া বাজারের ব্যবসায়ী ডা: মো: রফিকুল ইসলাম। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে একটি কুলং কর্ণার, দুটি মুদি দোকান ও একটি ফার্নিসার দোকানসহ দশটি দোকান সম্পুর্নরূপে ভস্মিভুত হয়। এসময় ব্যবসায়ীদের দুটি মোটরসাইকেল সম্পুর্নরুপে ভস্মিভুত হয়। এতে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
খেদাছড়া বাজার ব্যবসায়ী সুত্রে জানা গেছে, আগুনের সুত্রপাত হওয়ার পরপরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের বিজিবি জওয়ানরা প্রায় ত্রিশ মিনিট চেষ্ঠার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার প্রায় আধাঘন্টা পর ভোর সাড়ে চারটার দিকে খাগড়াছড়ি ও রামগড় থেকে ফায়ার সার্ভিসের দু‘টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে।
এদিকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ খেদাছড়া বাজার পরিদর্শন করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: কামরুজ্জামান, এনডিসি, পিএসসি, জি, পলাশপুর জোনের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজন মো: এনামুল করিম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান ও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: কামরুজ্জামান, এনডিসি, পিএসসি, জি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের রিজিয়ন ও পলাশপুর জোনের পক্ষ থেকে নগদ আর্থিক অনুদান ও খাদ্যশষ্য প্রদান করেন।
এদিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের যথাযথ তালিকা করে দুই বান্ডিল টিনসহ নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে জানান মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান।
আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।
Site Powered By DigitB