খাগড়াছড়িতে বেকার সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা

NewsDetails_01

পহেলা মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৩ মাস সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছ ধরতে না পেরে বেকার সময় কাটাচ্ছেন খাগড়াছড়ির জেলেরা। নিবন্ধন থাকা সত্ত্বেও সরকারি সহায়তা না পেয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন । এ অবস্থায় জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
দেশের বৃহত্তম কৃত্রিম মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র কাপ্তাই হ্রদের বড় একটি অংশ ভৌগলিকভাবে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ দুই উপজেলার জলাশয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলেরা। তবে, পহেলা মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৩ মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ থাকায় বেকার জীবন কাটাচ্ছেন জেলেরা। নিবন্ধন কার্ড থাকা সত্ত্বেও সরকারি সহায়তা দেয়া হয় না বলে অভিযোগ তাদের।
জেলেরা বলেন, আমাদের কোন কাজ নাই আমরা খুব কষ্টে আছি। আমাদের রেশন দেওয়ার কথা, রেশন দিচ্ছে না,তাই পরিবার নিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে।
এ অবস্থায় জেলেদের জন্য দ্রুত সরকারি সহায়তা চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় খাগড়াছড়ি মহালছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা। তিনি বলেন, মাছ ধরা বন্ধকালীন জেলেরা যেন রেশন পায় সেই আবেদন জানাই সরকারের কাছে।
জেলেদের সরকারি সহায়তার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা চাই জেলেরা যেন মাছ ধরা বন্ধকালীন রেশন পায়। ইতিমধ্যে আমি মৎস্য প্রাণী মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলায় ২ হাজার ৭শ’ ৭৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন।

আরও পড়ুন