খাগড়াছড়িতে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং

NewsDetails_01

পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে খাগড়াছড়িতে মাইকিং শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার ভোর থেকে খাগড়াছড়িতে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরে যেতে উপজেলা পরিষদ মাইকিং করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে জেলায় পাচটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা থাকায় জেলা সদরে একটি, মহালছড়ি উপজেলায় একটি, রামগড় উপজেলা একটি ও মানিকছড়ি উপজেলায় দুইটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সর্তক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
তবে পাহাড় ধসে রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রাণনাশের ক্ষয়ক্ষতি হলেও খাগড়াছড়িতে এখনো পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে তারা আরো বেপরোয়া হচ্ছে দিনদিন।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, খাগড়াছড়িতে প্রভাবশালীরা দিনদুপুরে পাহাড় কেটে সাবাড় করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে করে অপরাধীরা আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
উল্লেখ্য, চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণে দু’দফার পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ির রামগড় ও ল²ীছড়ি উপজেলায় তিন শিশুসহ চারজন নিহত ও দশজন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন