এক নজরুলের এত পেশা!

NewsDetails_01

nazrul 2খাগড়াছড়িতে নজরুল ইসলাম নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতাসহ বহু পেশায় জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়টি বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(প্রাথমিক) মো: আব্দুল লতিফ মুঠোফোনে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জেলা সদরের এপিবিএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি সময়ে সে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ফোরাম নামে একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়। কমিটি গঠনের সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে বিভাগীয় ভাবে বিষয়টি তদন্ত হয়। তদন্তে নজরুল ইসলামের সাংবাদিক সংগঠন খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ফোরামের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয় এবং সাংবাদিকতার প্রভাব কাটানোর বিষয়টিও প্রমাণিত হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বহু সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। যেটি সরকারি চাকরী বিধির পূর্ণাঙ্গ লঙ্ঘন।
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, নজরুল ইসলাম নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বহুপেশায় নিয়োজিত থাকার অভিযোগের বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট এসেছে। আমি বিষয়টি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করব।
খাগড়াছড়ি গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারের ব্যবস্থাপক সাজিব পালিত জানান, নজরুল ইসলাম তার সেন্টার থেকে গতবছর তিন হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যার টাকা এখনো দেয়নি। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, আমি আগে সাংবাদিকতা করতাম, এখন সাংবাদিকতা করিনা। সবাই আমাকে সাংবাদিক হিসেবে চিনে।
প্রসঙ্গত, নজরুল ইসলাম জাতীয় একটি দৈনিকে খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিল। ২০১৩সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলে ওই পত্রিকার চাকরী ছেড়ে দেয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় সুযোগ পেলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও নজরুল ইসলামের নিজস্ব ফেসবুকেও নিজের কর্মস্থলের স্থানে সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।

আরও পড়ুন