‘পরবর্তী টার্গেট জিয়া’

NewsDetails_01

032501Pic-22নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই আরেক মাস্টারমাইন্ড ও সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়াকে গ্রেফতারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমন ঘোষণাও দিয়েছেন। শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পাইকপাড়ার বড় কবরস্থান এলাকায় একটি তিন তলা বাড়িতে এ অভিযান চালায় সিটিটিসি ও পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা। সকাল পৌনে ৯টায় অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষ হয় ১০টা ৩৫ মিনিটে।‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ নামে অভিযানে মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত তামিম আহমেদ চৌধুরীর অপর দুই সহযোগীকেও শনাক্ত করেছে পুলিশ। এদের একজন যশোরের ফজলে রাব্বী ও অপরজন ঢাকার ধানমণ্ডির তৌসিফ হোসেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,জঙ্গিরা একাধিক ছদ্ম নাম ব্যবহার করে থাকে। একারণে তামিমের নিহত দুই সহযোগীকে প্রাথমিকভাবে নব্য জেএমবির সদস্য মানিক ও ইকবাল বলে ধারণা করেছিলেন তারা।পরে অবশ্য শনাক্ত করা গেছে ওই দুজন হলো ফজলে রাব্বী ও তৌসিফ হোসেন। মানিক ও ইকবাল এদুজনের ছদ্মনাম হতে পারে।কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় এ দুজনও সেখানে ছিল বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। গত ২ আগস্ট পুলিশ সদর দফতরে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তখন তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নিও জেএমবির প্রধান হচ্ছে তামিম চৌধুরী। অপরদিকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত মেজর জিয়া আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব দিচ্ছে। দুজনকে ধরিয়ে দিতে ও তথ্য দিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান।তথ্যদাতাদের প্রত্যেক জঙ্গির নেতার তথ্যের জন্য ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি দাবি করেছিলেন,
imagesওই দুজনকে গ্রেফতার করা গেলে দেশের জঙ্গি তৎপরতা কমিয়ে আনা যাবে। এদের মধ্যে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির সময় নিহত হয় জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী। তবে ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
শনিবার বিকালে রাজশাহীর বাগমারায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘মেজর জিয়া হিসেবে পরিচিত গুলশান হামলার আরেক পরিকল্পনাকারীর চ্যাপ্টারও অচিরেই শেষ হবে। গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর চ্যাপ্টার শেষ করতে পেরেছি। মেজর জিয়া (সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক) চ্যাপ্টারও শেষ হবে।’ বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, যেখানে দেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিক মদদও রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানিয়ে দিয়েছে। তবে এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ছাত্রশিবির নামে স্বাধীনতাবিরোধীরা আত্মপ্রকাশ করে। তবে পরবর্তীতে তারাই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নামে সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশবাসী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর চ্যাপ্টার শেষ হয়েছে। মেজর জিয়ার চ্যাপ্টারও শেষ হবে। সূত্র-বাংলাট্রিবিউন।

আরও পড়ুন