বর্তমানে বাংলাদেশে গুপ্তঘাতকের মতো কাজ করছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় ৩৫ হাজার। জনসচেতনতা সড়ক দুর্ঘটনার হার ও ক্ষতির মাত্রা অনেকখানি কমিয়ে আনতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না কী করবেন। এটা জানা থাকলে পথেঘাটে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষের কাজে লেগে যেতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুরুতেই রাস্তা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক মতো হচ্ছে কিনা লক্ষ করতে হবে। পাশের ভিড় কমিয়ে পর্যাপ্ত বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। হাড় ভেঙে গেলে নড়াচড়া করা যাবে না। প্রয়োজনে হালকা কিছু দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। শরীরের যে অংশে আঘাত লাগবে, সেই অংশটা উঁচু করে রাখতে পারলে ভালো। রক্তপাত হলে তা যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে পরিষ্কার কাপড় সঙ্গে থাকলে হালকাভাবে ব্যান্ডেজ করা যেতে পারে। উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে নিন।
অতিরিক্ত রক্তপাত
আঘাতের জায়গাটা উঁচু করে রাখুন।
একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতের ওপর চাপ দিয়ে ধরে রাখুন।
সমস্যা গুরুতর হলে দ্রুত হাসপাতালে নিন। নেওয়ার সময় কাছের মানুষদের রক্ত জোগাড়ের ব্যাপারে আগে থেকেই বলে দিন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ধনুষ্টংকারের টিকার ব্যবস্থা করা ভাল। সূত্র : পরিবর্তন.কম