রাঙামাটিতে বিস্ফোরকসহ জেএসএস ও পিসিপি নেতা আটক

NewsDetails_01

রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা থেকে বিস্ফোরকসহ আটক জেএসএস ও পিসিপির নেতা
রাঙামাটিতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে অত্যাধুনিক বিস্ফোরকসহ পাহাড়িদের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির দুই নেতাকে আটক করেছে। এরা হলেন কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ও জেএসএস এর ইউনিয়ন সভাপতি থোয়াই সুইনু মারমা (৪৩) ও জেএসএস এর ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর কাপ্তাই উপজেলা সভাপতি কহিংহলা মারমা (২২)। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, শুক্রবার ভোর ৬টায় কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের নারায়নগিরি গ্রামে একটি বাসা থেকে এ দুজনকে আটক করা হয়। আটক দুজন সম্পর্কে পিতা পুত্র। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কাপ্তাই সার্কেল) মোঃ আসলাম ইকবাল জানান শুক্রবার সকালে রাইখালী ইউনিয়ন থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিষ্ফোরকসহ দুইজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানায়,পার্বত্য রাঙামাটিতে জেএসএস নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ যৌথ অভিযান শুরু করা হয়। এর প্রেক্ষিত গত বৃহষ্পতিবার চন্দ্রঘোনা থানার জেএসএস এর চাঁদা কালেক্টর মায়াধনকে আটক করে যৌথবাহিনী। মায়াধনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ফের উপজেলার রাইখালীতে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জেএসএস ও পিসিপি নেতা পিতা পুত্রকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশী তৈরী চারটি অত্যাধুনিক বিষ্ফোরক পাওয়া যায়। তবে এসব বিস্ফোরকের নাম জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আটক থোয়াই সুইনু মারমা জিজ্ঞাসাবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায় সে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র গ্রুপের কাছে অস্ত্র ও গোলা বারুদ পাচার করেছিলো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আটকরা জানান,তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ায় একই ধরনের ২০টি বিস্ফোরক দুইদিন আগে বান্দরবান নিয়ে আসে কালেক্টর মায়াধন চাকমা। এর মধ্যে চারটি তাদের কাছে রেখে তা ভিতরে চীফ কালেক্টর চা থোয়াই এর কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়। এসব বিস্ফোরক চিনের তৈরী বলে আটকরা জানান।

আরও পড়ুন