রাঙামাটিতে প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে যারা নিহত ও আহত হলেন

NewsDetails_01

রাঙামাটিতে প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে নিহতদের চিত্র
প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৫জন নিহত ও ৮জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত। শুক্রবার দুপুরে দূর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ও জেএসএস-এমএন সমর্থিত নেতাকর্মীদের গাড়ীবহরে ব্রাশ ফায়ার করে দূর্বৃত্তরা।
নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, জেএসএস সমর্থিত যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সুজন চাকমা, মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি তনয় চাকমা, সমর্থক সেতু লাল চাকমা ওরফে রবিন ও মাইক্রো চালক সজীব হোসেন।
আহতদের মধ্যে মিহির চাকমা, অর্জুন চাকমা, অর্চিন চাকমা ও দিগন্ত চাকমাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া শান্তি রঞ্জন চাকমা, জীবন চাকমা ও প্রীতি কুমার চাকমাসহ চারজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেএসএস (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভূরঞ্জন চাকমা এঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ(প্রসিত) গ্রুপকে দায়ী করে বলেন, শক্তিমান চাকমাকে যারা হত্যা করেছিল তারাই ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোশারফ হোসেন জানান, গুরুত্বর আহত ৪জনকে চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালের মর্গে নিহত ৫ জনের ময়নাতদন্ত চলছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বলেন, নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করে ইউপিডিএফর সামরিক শাখার নেতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা।

আরও পড়ুন