লামায় রুপসীপাড়া আ’লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক মো. ইউছুপ (৩৩) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ইউছুপ লামা পৌরসভার কুড়ালিয়ার টেক এলাকা গ্রামের মো. সুলতানের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন, রুপসীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াতুল ইসলাম, স্থানীয় আনসার ও ভিডিপির মো. সেলিম পিসি ও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আবুল হোসেন।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ রাতে ইউনিয়নের চিংকুমপাড়া হইতে প্রেমিকের হাত ধরে এক কিশোরী পালিয়ে যাবার সময় অংহাপাড়া থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পর মেয়েটিকে বাবা মা’র নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন। গন্যমান্য ব্যক্তিগন রাতেই প্রেমিক যুবক মো. রুবেলকে জিম্মি করে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে উল্লেখিত অভিযুক্তরা মোটর সাইকেল চালক মো. ইউছুপকে মারধর করে আহত করে। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে তার মোটর সাইকেল আটকে রেখে ৪ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে উল্লেখিত ৪জনের সামনে সেলিম পিসির হাতে নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করলে তারা মোটর সাইকেলটি ছেড়ে দেয়।
মো. ইউছুপ বলেন, মারধর ও চাঁদার টাকা নেওয়ার বিষয়ে বিচার চেয়ে আমি অভিযোগ করেছি। আমি ভয়ে গরু বন্ধক রেখে চাঁদার ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। অভিযুক্ত রুপসীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম বেপারী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি দুঃখজনক, আমি এখন বান্দরবানে। টাকা ফেরত দিতে আবুল মেম্বারকে বলেছি। এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন