বান্দরবানে আরকান আর্মির ৩ সদস্যসহ আটক ৯

NewsDetails_01

Bandarban news pic-24-8-2016বান্দরবান পার্বত্য জেলায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরকান আর্মির (এএ) তিন সদস্যসহ ৯ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে জেলার থানচির বলিপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকর্কৃতরা হলেন, এমজিএমজি, ক্যয়থান, নোয়াং নোয়াং, থানছি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মাংচ, ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য বাই ওয়াই মারমা, বড় মদক বাজারের ব্যবসায়ী হ্লামং মারমা, জিপচালক রনি বড়ুয়া, মোঃ আলমগীর ও চালকের সহকারী জুনিয়া বম।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান শহর থেকে থানচির বলিপাড়া যাওয়ার পথে একটি জীপগাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের বহনকারী জিপ গাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ওষুধ, ইলেক্ট্রনিক পন্য, মোবাইল সেট, এলইডি টিভি, জলপাই রঙ্গের পোশাকসহ নানা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। আরো জানা গেছে, এমজিএমজি, ক্যয়থান, নোয়াং নোয়াং মিয়ানমারের শসস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মির (এএ)সদস্য। তাদের বাড়ি মিয়ানমারের বুচিডং,চতৈয়ে এবং মংডু এলাকায়। আরকান আর্মির এই সদস্যরা তাদের শসস্ত্র গ্রæপের অন্য সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে গত ১৯ আগষ্ট বান্দরবানে আসে এবং ওষুধসহ নিত্যপন্য সামগ্রি নিয়ে তারা বুধবার থানচির বড়মদক যাওয়ার পথে তাদের বলিপাড়ায় আটক করা হয়।
এই ব্যাপারে বান্দরবান ব্রিগেডের জিটুআই মেজর মেহেদি বলেন, তারা মিয়ানমারের শসস্ত্র সংগঠনের সদস্য কিনা জানিনা, তবে আমরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তিনজনকে আটক করেছি। এদিকে আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বান্দরবান জেলা সদরে আনা হয়েছে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও পুলিশের কাছে সোপোর্দ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ২৬ আগষ্ট বান্দরবান থানচির মিয়ানমার সীমান্তের বড় মদকে বিজিবি ও মিয়ানমারের বিছিন্নতাবাদী দল আরকান আর্মির সাথে বন্দুক যুদ্ধ হয়। নদী পথে আরাকান আর্মির জন্য ১১টি ঘোড়া নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি ঘোড়াগুলো আটক করে। পরে ওই ঘটনার জের ধরে আরাকান আর্মি বিজিবির একটি টহল দলের ওপর হামলা করলে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়।

আরও পড়ুন