প্রতিশোধ প্রবণতা থেকে খাগড়াছড়িতে রাসেল হত্যাকান্ড

NewsDetails_01

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী মো: রাসেল হত্যাকান্ডের আটক মো: রমজান হোসেন মোমিন
খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী মো: রাসেল হত্যাকান্ড মামলার আরেক আসামীকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ভবন থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের হস্তক্ষেপে তার রুম থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মো: রমজান হোসেন মোমিনকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
থানায় হস্তান্তরের আগে পৌরসভা মেয়র রফিকুল আলমের কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয় আসামী মোমিনকে। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিতে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোমিন।
মো: রমজান হোসেন মোমিন বলেন, কয়েক মাস আগে মোমিনের বন্ধু অটোরিক্সা চালক সুমনকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয় রাসেল ও তার বন্ধুরা। ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় রাসেলসহ কয়েকজনকে মিলনপুর ব্রীজে বসে থাকতে দেখে সুমন ৭-৮ জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে রাসেলকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সুমনই রাসেলকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতের পর রাসেল ঢুলিয়ে পড়লে সবাই চলে যায়। পরবর্তীতে রাসেলের মৃত্যুর খবরের পর সবাই পালিয়ে যায় বলে জানায় মোমিন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, সংসদ সদস্য সমর্থকদের সাথে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়। মামলায় আমাদের হয়রানি করতে আসামী করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর থেকে মোমিন বিভিন্ন নেতার কাছে আশ্রয় চেয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে আশ্রয় দেয়নি। পরে আমাদের কাছে আশ্রয় চাইলে আমরা তাকে আশ্রয়ের আশ্বাসে খাগড়াছড়ি আসতে বলে পুলিশে সোর্পদ করেছি। এখন পুলিশে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ রাতে খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী মো: রাসেলকে। ঘটনার পরের দিন রাসেলের মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন