লামায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গোলাপ চাষের সম্ভাবনা

NewsDetails_01

news1লামা উপজেলায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে গোলাপ ফুল চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারী ও বে-সরকারী পৃষ্ট পোষকতা না থাকায় কেউ এ চাষের দিকে এগিয়ে আসছেনা। ২৬৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ লামা উপজেলার কোথাও বানিজ্যিক ভিত্তিতে গোলাপ ফুল চাষ নেই।
তবে সরকারী বে-সরকারী অফিস আদালত ও বাসা-বাড়ীর সৌন্দর্য বর্ধনে অল্প-স্বল্প গোলাপ ফুল দেখা যায়। এ উপজেলায় অনেক পতিত জায়গা আছে যেখানে গোলাপ চাষ করে অনেকেই হতে পারেন স্বাবলম্বী। কৃষি বিভাগ বলছেন, গোলাপ ফুল চাষের জন্য লামা উপজেলার মাটি এবং আবহাওয়া দু’টোই উপযোগী।
সরজমিন, লামা উপজেলার পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বরইতলীতে শত শত একর জমিতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে গোলাপ ফুল চাষ হয়। সেখানে পেশাদার চাষীদের পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা পিছিয়ে নেই গোলাপ ফুল চাষে। যে কেউ গোলাপ ফুল চাষের উদ্যোগ নিলেই চতুর্রদিক থেকে সহযোগিতা আসতে থাকে। ফুল ব্যাসায়ীরা আগাম টাকা দিয়ে গোলাপ ফুল চাষে সহযোগিতা করে থাকে উদ্যোক্তাদের। বরইতলীর গোলাপ ফুল কক্সবাজার, চকরিয়া, লোহাগাড়া, আমিরাবাদসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় ফুল ব্যাবসায়ী ও ক্রেতাদের উদ্যোগেই।
বরইতলীর গোলাপ ফুল চাষী আমেনা বেগম ও রফিকুল ইসলামের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, তারা দু’জনে ১০ শতক জমিতে গোলাপ ফুল চাষ করেছেন। তাদের খরচ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার টাকা । তারা শুরুতে ৩০ হাজার টাকার গোলাপ ফুল বিক্রি করেছেন। আরো ৮-১০ হাজার টাকার গোলাপ ফুল তারা বিক্রি করতে পারবেন। খুচরা হিসাবে প্রতিটি গোলাপ ফুল তারা ১০ টাকায় বিক্র করছেন। তারা জানান, এ এলাকার প্রায় লোকই স্বাবলম্বী হয়েছেন গোলাপ ফুল বিক্রির টাকায়।
লামামূখের মাইনুদ্দিন ও লাইনঝিরির নূরুল হক জানান, তাদের অনেক জায়গা এমনিতে খালী পড়ে আছে। তারা এবার ওই জমিতে তামাক চাষ করেছেন। তারা জানান, সরকারী বে-সরকারী সহযোগীতা, ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋন ও কৃষি বিভাগের সহযোগীতা পেলে তারা তামাক চাষ বাদ দিয়ে গোলাপ ফুল চাষ করবেন। তারা জানান, লামা উপজেলা সরকারী-বেসরকারীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করেন পাশ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা থেকে ফুল এনে। রাজবাড়ী, কলিঙ্গাবিল, দরদরী, আজিজনগর, সরই, ফাঁসিয়াখালী, মেরাখোলা, ফাইতং, গজালিয়ার অনেকেই জানালেন গোলাপ ফুল চাষে তাদের আগ্রহের কথা।
লামা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, মনসুর আলী জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে ২২০ জাতেরও বেশী গোলাপ ফুল আছে। জোড় কলম, চোখ কলম ও কাটিং পদ্ধতির গোলাপ ফুল ভাল হয়। এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া গোলাপ ফুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কেউ যদি গোলাপ ফুল চাষ করেন তাহলে তিনি অবশ্যই লাভবান হবেন। তিনি বলেন, লামা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কারিগরি সহায়তা দিতে তারা সব সময় প্রস্তুত।

আরও পড়ুন