কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সতর্কতা

NewsDetails_01

কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও সহ জনপ্রতিনিধিরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত থেমে থেমে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাপক বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যে পাহাড় ধসে চন্দ্রঘোনার মিতিঙ্গাছড়ি ও কাপ্তাইয়ের লক গেইট এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়েছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হবার ঘটনা ঘটেনি তবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দুই দিন যাবত কাপ্তাই উপজেলায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। প্লাবিত হয়েছে কেপিএমের মাস্টার কলোনী ও কয়লার ডিপু এলাকা। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড় ধসে কাদা নেমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সড়কে চলাচলে দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
এদিকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করা ৬’শ ৭৩টি পরিবার সহ ঝুঁকিগ্রস্থ সকল পরিবারকে নিরাপদে রাখতে খোলা হয়েছে মোট ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র।
আজ সোমবার সকালে কাপ্তাইয়ের লক গেইট, মিতিঙ্গাছড়ি ও বারোঘোনিয়ায় ঝুকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে আসেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তনচংগ্যা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নূর নাহার বেগম, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার ইসলাম চৌধুরী বেবি। এসময় তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ হলে পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন জানান, ক্ষতি এড়াতে আমরা সকলে প্রস্তুত আছি। গতকাল রাত থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাঁদের খোঁজখবর নিয়ে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আসার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করছি, সেই তালিকার মাধ্যমে তাঁদের দ্রুত সাহায্যের চেষ্টা করছি।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ৬’শ ৭৩টি পরিবারের তৈরী করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে ইতিমধ্যে প্রেরণ করা সহ মোট ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
কাপ্তাই এ পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সতর্কতা

আরও পড়ুন