ঈদের আগেই পুরোপুরি সচল হচ্ছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক

NewsDetails_01

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি শালবনে নির্মাণাধীন বেইলি সেতু
সামনের কোরবানি ঈদের আগেই সচল হচ্ছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ। সড়কের বিধ্বস্ত অংশের পাশে নির্মাণাধীন বেইলি সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, সড়কটির সরাসরি যোগাযোগ দ্রুত স্বাভাবিক করতে ভারি যান চলাচল খুলে দিতে দ্রুত গতিতে কাজ করছে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরই মধ্যে রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি শালবনে সড়কের বিধ্বস্ত অংশের স্থায়ী সংযোগে বিকল্প হিসেবে নির্মিত হচ্ছে একটি বেইলি সেতু। নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। যা কোরবানি ঈদের আগে শেষ করে যান চলাচল চালুর সম্ভব হবে।
জানা যায়,গত ১৩ জুন পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরমধ্যে সড়কের সদর উপজেলার সাপছড়ির শালবনে ১০০ মিটার রাস্তা ধসে ১০০ ফুট খাদে তলিয়ে বিলীন হয়ে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সড়কটির যোগাযোগ। বিধ্বস্ত অংশে ভরাট ও মেরামত করে ঘটনার ৮ দিন পর ২১ জুন সড়ক দিয়ে হালকা যান চলাচল শুরু হয়। ওই সময়ে বলা হয়েছিল, পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সড়কটি সরাসরি ভারি যান চলাচল উপযোগী করা হবে কিন্তু হালকা যান চালুর দুই মাসেও তা হয়ে ওঠেনি। ফলে আজও পুরোপুরি সচল হতে পারেনি রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক। বর্তমানে সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকার ভারি যান চলাচল করছে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বাজার হতে। সেখান থেকেই এপার ওপার হয়ে চলছে যাতায়াত ও পরিবহণ ব্যবস্থা। সড়ক দিয়ে আজও সরাসরি যান চলাচল করতে পারছে না। হয়ে ওঠেনি পুরোপুরি সচল। যাতায়াত ও পণ্য পরিবহণ নিয়ে কাটেনি জনদুর্ভোগ।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন বলেন, শালবনে নির্মাণাধীন ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এবং ৪ মিটার প্রস্থের বেইলি সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, কাজ খুব দ্রুত গতিতে চলছে। এরই মধ্যে সেতুটির প্রায় ৭০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ করা গেছে। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করে সামনে কোরবানি ঈদের আগে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে। তার মধ্য দিয়েই রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সরাসরি যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে সড়কটি পুরোপুরি সচল হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন