দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম এবং নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট পেশ শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে, মন্ত্রিসভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
এবারের বাজেটে দাম কমছে পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট, কেক, দেশীয় মোটরসাইকেল, প্লাস্টিক ও রাবারের চপ্পলের। এছাড়াও ওষুধ শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ কমবে।
ব্যাংকিং খাতে কর্রোরেট কর কমানো হচ্ছে। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে পারে সুদ হার। আরও কমবে কৃষিজমিতে রেজিস্ট্রেশনের খরচ। এছাড়াও কমবে এনার্জি সেইভিং লাইট, টমেটো সস, ফলের জুস, গুড়ো দুধ, শিশু খাদ্য, স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি রেফ্রিজারেটর, এসি, মোটর সাইকেল ও আমদানিকৃত হাইব্রিড গাড়ি ও টায়ারের।
পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কর ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এবং তালিকাবর্হিভূত প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪২ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ১২তম ও বাংলাদেশের ৪৭তম বাজেট। বাজেটে মোট জিডিপির আকার ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ২৯৩ কোটি।
এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। সামাজিক নিরাপত্তা কল্যাণ খাতে ২৭ হাজার ৫২৫ কোটি। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৫ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা খাতে ২৯ হাজার ১০১ কোটি টাকা। শিক্ষা প্রযুক্তি খাতে ৬৭ হাজার ৯৪৪ কোটি।
জনশৃঙ্খলা খাতে ২৬ হাজার ৯৩৯ কোটি। রাজস্ববোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৪ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। কৃষিখাতে ২৬ হাজার ২৫৯ কোটি, স্থানীয় সরকার খাতে ৩২ হাজার ৬৭০ কোটি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি।