নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৫০ জন : রয়টার্স

NewsDetails_01

নেপালের কাঠমান্ডুতে ঢাকা থেকে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পর উদ্ধার করা লাশের সারি
নেপালের কাঠমান্ডুতে ঢাকা থেকে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০জন নিহত হয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত একই পরিবারের তিনজনসহ ৪জন বাংলাদেশিকে সনাক্ত করা হয়েছে। ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে বিএস-২১১ ফ্লাইটটি অবতরণের মুখে বিধ্বস্ত হয়। নেপালের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকেও এই দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হতে থাকে। সবশেষ তথ্যে জানা যাচ্ছে- ফ্লাইটিতে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালের ৩০ জন, মালদ্বীপের ১জন ও চীনের ১জন নাগরিক ছিলেন। এছাড়া ৪জন ক্রু ছিলেন বিমানে।
তাদের মধ্যে প্রথম দিকেই উদ্ধার করে ১৭ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাকি ২০ জন নিহত হওয়ার খবর দিচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যম। তবে নেপালের পুলিশের বরাত দিয়ে এপি জানায়, এ পর্যন্ত ৩৮জন নিহত হয়েছেন। হিমালয়ান টাইমস জানাচ্ছে- দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজের বরাত দিয়ে বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় অন্তত ২৫ জনকে পাঠানো হয়েছে।
নেপালের টেলিভিশন চ্যানেল এপি ওয়ান সবশেষ খবরে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য দিচ্ছে । আহতদের মধ্যে ৫ জন নেপালি ছিলেন বলেও নিশ্চিত করেছে ওই চ্যানেলটি। দেশটির ট্যুরিজম মিনিস্ট্রিম যুগ্ন-সচিব সুরেশ আচার্যের বরাত দিয়ে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানায়, আরোহীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ২৭ জন নারী ও দুটি শিশু ছিলো।
নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশনের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতমকে উদ্ধৃত করে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানায়, অবতরণের সময়ে বেশ অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় ফ্লাইটিতে। সেটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন ছিলো। রানওয়ের দক্ষিণ দিকে অবতরণের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু দক্ষিণ দিকের অনুমতি নিয়ে সেটি উত্তর দিকের রানওয়েতে ল্যান্ড করে। তিনি সন্দেহ করছেন, কোনও কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।
টেলিভিশনের খবরে আরও বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি ক্যাপ্টেন বেঁচে আছেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে- ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবেদ সুলতান নামের একজন।
ঢাকায় ইউএস-বাংলার একজন কর্মকর্তা জানান, আবেদ সুলতানই ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেইন হিসাবে ছিলেন। নেপাল টিভি জানাচ্ছে, পাইলটের সহকারী হিসাবে ছিলেন একজন নারী। যিনি মারা গেছেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে। ত্রিভুবন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালান। বিমানবন্দর থেকে সকল ফ্লাইট অপারেশন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে ১৯৯২ সালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের ৫৬ জন আরোহীর সকলেই নিহত হন।

আরও পড়ুন