আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে কাল সকাল সন্ধ্যা হরতাল

NewsDetails_01

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার
আওয়ামী লীগ নেতা অরবিন্দু চাকমা হত্যা ও রাসেল মারমাকে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছেন জেলা যুবলীগ। বুধবার বিকালে জেলা আ’লীগ শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বরের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কেন্দ্রীয় আ’লীগ সদস্যও জেলা আ’লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল চাকমা,জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি হাজি কামাল উদ্দিন জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা মহিলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ঝরনা খিসা,জেলা ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দীপংকর তালুকদার বলেন,দীর্ঘ ২ বছর পর পাহাড় আবারো অশান্তি হয়ে উঠেছে। পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়ে গেছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন দাবি দিয়ে আসলেও এখনো সরকার পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপন করছে যার কারনে পাহাড়ে একের পর এক হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন,আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ে চাঁদাবাজি ও মানুষ খুন করছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন,দ্রুত পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন,জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনে জেএসএস অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করবেন। তারা এখন থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে হত্যা শুরু করেছেন। তার প্রমান জুরাছড়ি অরবিন্দু চাকমা হত্যা ও বিলাইছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা রাসেল মারমাকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জেএসএস সন্ত্রাসী বাহিনী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের অধীনে এনে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে আ’লীগ তাদের কর্মসূচি বাড়াতে বাধ্য হবে। এখন আর প্রতিবাদ নয় এবার প্রতিরোধ করার জন্য নেতা কর্মীদের আহবান জানান।

আরও পড়ুন