বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলায় লামা সদর ইউ.পির ৪ নং ওয়ার্ড বলিয়্যাচর এলাকার বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে গ্রামীন অবকাঠামো রাস্তা ব্রীজ কালভার্ট ধ্বংস করে ট্রাক্টর ও ট্রলির মাধ্যমে পরিবহন করে ইট ভাটা ও তামাক চুল্লির জ্বালানী হিসাবে সরবরাহ শুরু করেছে লাকড়ী ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানায়, ট্রাক্টর ট্রলি দিয়ে লাকড়ি পরিবহন করে কাঁচা রাস্তা সমূহ নষ্ট করে দেয় এতে করে আমাদের বর্ষা কালে চলাচলে মারাত্বক সমস্যা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ইট ভাটায় ইট পোড়ানো ও তামাক চুল্লিতে তামাক কিউরিং শুরু হওয়ার সাথে সাথে জ্বালানী হিসাবে কাঠ ব্যবহারের জন্য লামা উপজেলার সদর ইউ.পির ৬ নং ওয়ার্ড বলিয়্যাচর হতে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টি ট্রাক্টরে করে করে লামা পৌরসভার অর্ন্তগত ছাগল খাইয়া ব্রিকফিল্ড ও মাতামুহুরী নদীপথে মানিকপুরসহ লামার ফাইতং এর ১৫ টি ইট ভাটা ও লামা ও চকরিয়ার তামাক চাষীদের কাছে পৌছে দেওয়া হচ্ছে বনের কাঠ।
ইট ভাটার চুল্লি গুলোতে সাধারনত গামারি,গর্জন, আকাশমনি একাশিয়া,রেইনট্রি ও বিভিন্ন গাছের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এসব কাঠের অধিকাংশ ১০০ থেকে১২০ টাকা মণ দরে কিনছেন ইট ভাটার মালিক ও তামাক চাষীরা
জানা গেছে, লামা উপজেলার কাঠ এখন লামা উপজেলায় সীমাবদ্ধ নেই কক্রবাজারের চকরিয়া এবং চট্রগ্রামের লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইট ভাটায় পাঠানো হচ্ছে । এর বেশীর ভাগ সংরক্ষিত বনাঞ্চল অশ্রেণী ভুক্ত বনায়ন সামাজিক বনায়ন এর গাছ , এর ফলে লামার বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে কাঠ।
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া বলেন, কাঠ (লাকড়ী),পাচার বন্ধে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহন না করলে আগামী কয়েক বছরে লামার হাজার হাজার একর বনাঞ্চল বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়বে
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক চুল্লি মিস্ত্রি জানায়, ১২ লাইন প্রতি লাইনে ৫ হাজার করে মোট ৬০ হাজার ইট পোড়াতে দৈনিক ৬শ থেকে ৮শ মন লাকড়ীর প্রয়োজন হয় এই হিসাবে প্রতি মৌসুমে ১৮২ দিনে প্রতিটি ইট ভাটায় কমপক্ষে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪ শত মন লাকড়ীর প্রয়োজন হয়।
এ ব্যাপারে লামা বন বিভাগীয় কর্মকর্তা কামাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের টহল টিম রয়েছে তারা কাজ করছে তারপরও অবৈধ ভাবে কাঠ্র পাচরের তথ্য পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব
তবে স্থানিয়রা মনে করছেন, ইট ভাটায় কাঠের ব্যবহার দ্রুত রোধ করা না হলে সবুজে ঘেরা বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার প্রাকিৃতিক সৈান্দর্য হারিয়ে যাবে।