লামায় পাথর চাপা পড়ে রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত : আটক ৩

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবৈধভাবে উত্তোলনের সময় পাথর চাপা পড়ে মো. আজম (২০) নামের এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ডলুঝিরিতে এ ঘটনা ঘটে। আজম কক্সবাজারের উখিয়ার মধুছড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. জাকারিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ৩ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলো- কক্সবাজারের উখিয়ার মধুছড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা আবদুল হামিদের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২২), অজিউল্ল্যাহর ছেলে মো. নূর (১৮) ও হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. মোহসেন আলী (৩৫)। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিহত আজমের লাশ বান্দরবান সদর মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মো. আজমসহ বেশ কয়েকজন মো. হোসেন মাঝির ডলুঝিরিস্থ কোয়ারীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে পাথর উত্তোলন করতে গেলে পাথর চাপা পড়লে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলার ইউনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আজমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পাথর কোয়ারীর মালিক ও দালাল মো. হোসেন মাঝি লাশটি গোপন করতে মধুছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না নিয়ে পূণরায় রাত ১০টার দিকে পুনরায় ফাইতং-লামা রোড দিয়ে দূর্গম ডলুঝিরিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক মো. হানিফের সন্দেহ হলে তিনি লাশের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এক পর্যায়ে তিন শ্রমিকসহ লাশটি আটক করে লামা থানায় সোপর্দ করেন।
পাথর চাপায় নিহত আজমের লাশসহ ৩ শ্রমিককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পাথর চাপা পড়ে নিহত আজমের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও পড়ুন