লামায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ পালিত

NewsDetails_01

লামায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী
জনগনকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেয়া, সেবা নিতে উদ্বুদ্ধ করা এবং প্রতিটি কর্মীকে সেবা দিতে আরও উৎসাহিত হওয়ার জন্য পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ পালন করেছে, বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
গত ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৪ জানুয়ারী পর্যন্ত এক যোগে উপজেলার ৯টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলে। ‘পরিকল্পিত পরিবার গড়ি, মাতৃ মৃত্যু রোধ করি’এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বুধবার দুপুরে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জোবাইরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় এতে সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. সায়েদ ইকবাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নয়ন চন্দ্র দেবনাথ, বান্দরবান ও কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফ্যাসিলেটর নুটন চন্দ্র দত্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ মিয়া, পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ফাতেমা বেগম বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর যুগোপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তাই সরকারের এ সেবা গ্রহণ করে সকলকে পরিকল্পিত পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১০৫ এ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০ এ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জোবাইরা বেগম বলেন, সেবা সপ্তাহের আওতায় প্রতিদিন উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি সেবা কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনার বিশেষ ক্যাম্পে গর্ভবতী মায়েদের চেকআপ ও ডেলিভারি সেবা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন