লামায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৬

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছে ।

আহতরা হলেন, মো. নাহিদ (১৯), রাশেদ (১৮), মাহফুজ (১৮), শাহেদ (২৭), দিলারা বেগম (৪০), আবদুল্লাহ আলম মাসুদ (২৭)। আহতরা সবাই মধুঝিরি, চেয়ারম্যান পাড়া ও হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়াস্থ মীম ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পারিবরিক কলহের জের ধরে লামা পৌরসভা এলাকার চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা মো. শাহারাজের ছেলে মো. সাহেদের মোটর সাইকেলটি তার শশুর বাড়ির লোকজন আটকে রাখে।

NewsDetails_03

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহেদ গজালিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর পাড়াস্থ শশুরবাড়িতে মোটর সাইকেলটি আনতে গেলে তার স্ত্রী জরিনা বেগম ও শালা মাহফুজুল ইসলাম তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পায় সাহেদ। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তার শশুরবাড়ির লোকজন। তারা আবারও বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একই স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। এতে এক নারীসহ ৫ জন আহত হন। এদিকে মারামারির ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানেও দু’পক্ষের লোকজন আবারও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে গিয়ে লাঠি চার্জ করে।

এদিকে, আহতদের মধ্যে মো. নাহিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, পুলিশ আমার ভাই আবদুল্লাহ আল মাসুদকে অযথা মারধর করে। তবে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কুমার দাশ বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে উশৃঙ্খল দুই জনকে একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন। তখন মাসূদ নামের একজন ধৃতদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মারামারির ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন