রোয়াংছড়িতে রেঞ্জ কর্মকর্তার যোগসাজশে বাড়ছে অবৈধ কাঠ পাচার !

NewsDetails_01

রোয়াংছড়িতে অবৈধ কাঠ পাচার
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আব্দুল হায় নিজ দায়িত্ব পালন না করে বন খেকো ও বন দস্যুদের সাথে আতাঁত করে গাছ কর্তন ও অবৈধ ভাবে মূল্যবান কাঠ পাচার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নোয়াপতং রেঞ্জ থাকলেও অফিস নাই বলে অজুহাত দেখিয়ে কোন কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকায় এ সুযোগে অবৈধ কাঠ পাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকার স্থানীয়রা।
এলাকার স্থানীয়রা অভিযোগ বলেন, নোয়াপতং রেঞ্জে কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট অফিস নেই বলে অজুহাত দেখিয়ে মো: আব্দুল হায় কর্মস্থলে থাকেন না। শুধু মাসের শেষে অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের নিকট থেকে হিসাব নিকাশ করে মাসোহারা নিতে আসেন। জোত পারমিট কাগজের সাথে গাছের বাগানে কোন মিল না থাকলেও কাঠ গাড়িতে লোডিং করার সময় ফরেস্ট বিভাগের কোন কর্মচারী উপস্থিত থাকেন না। আবার উপস্থিত থাকলে ও কোন দায়িত্ব পালন না করে বরং কাঠ ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে সহায়তা করেন।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী মো: আব্দুলা মেম্বারের গাছ দেখভাল দায়িত্বে থাকা মো: রহমান বলেন, আব্দুলা মেম্বার এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আব্দুল হায় সাথে কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে থাকি,তাই এসব কোন বিষয় নয়।
স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, বসন্ত ত্রিপুরার নামে জমি কাগজকে দেখিয়ে জোত পারমিট করে একটি কাগজে পারমিটে অনুকুলে হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ ট্রাকে করে সেগুন গাছ বান্দরবান জেলা রোয়াংছড়ি উপজেলায় নোয়াপতং ইউনিয়ন ও নোয়াপতং রেঞ্জ থেকে রাঙামাটি জেলা রাজস্থলী উপজেলার উদ্দেশ্যে নেয়ার জন্য গাড়িতে তোলা হয়।
এসময় জোত পারমিটের সঙ্গে গাছের মিল নেই উল্লেখ করে তার কাছে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন নোয়াপতং রেঞ্জে দায়িত্বে থাকার কর্মকর্তার মো: আব্দুল হায়। অংথুই মারমা বলেন, বন দস্যুদের বন বিভাগ এলাকার থেকে গাছ কেটে শেষ করে ফেলেছে। জোতের নামে করা হচ্ছে তা নিয়মবহির্ভুতভাবে বিনা তদন্তে ইস্যু করা হয়েছে।
কাঠ ব্যবসায়ী মো: আব্দুলা মেম্বারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মেম্বার থেকে কিনছি, আমার কাছে কোন কাগজপত্র নাই।
স্থানীয় লংকার ত্রিপুরা বলেন, প্রায় ক’বছর যাবত নোয়াপতং রেঞ্জের বিভিন্ন মৌজার জোত পারমিটের কাগজের ব্যবহার করে নোয়াপতং ও সোনা এলাকার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে লাখ লাখ ঘনফুটের চাপালিশ,গোদা,গর্জন,গুটটিয়া,জারুল,নিষিদ্ধ ঘোষিত চাম্পাফুল সহ বিভিন্ন মূল্যবান প্রজাতির কাঠ পাচার হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকাও বেশি।
ফরেস্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়মিত নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে নির্দেশনা থাকলেও সরকারি নির্দেশনা মানছেন না। তিনি বরং কর্মস্থলে না গিয়ে নিয়মিত নোয়াপতং রেঞ্জ অফিস নামে রাজস্থলীতে অবস্থান করে যাচ্ছেন। রাজস্থলীতে থাকলে বিভিন্ন সোর্সে মাধ্যমে অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীদের আতাঁত করে নিজ ভাগের টাকা আদায় করে থাকে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে নোয়াপতং রেঞ্জে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দল হায় সাথে যোগাযোগ জন্য একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে কাপ্তাই (পাল্পাউড) বিভাগে প্রধান বন সংরক্ষক (ডিএফও) আমিনুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংএর আছি পরে ফোন করেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে বিকাল ৫টায় একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ না করে তার অফিসের সহকারি শ্যামল চাকমাকে ফোন ধরিয়ে দেন।

আরও পড়ুন