রোহিঙ্গাদের ভরসা যখন সৌর চালিত বিদ্যুৎ

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা সীমান্তের বড়ছনখোলা অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে পলিথিন মোড়ানো তাবুতে সোলার প্যানেল
সীমান্তের অরণ্যে রাতের আঁধারকে আলোকিত করতে সৌর চালিত বিদ্যুৎই তাঁদের শেষ সম্বল। এতে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আলোকিত করা সম্ভব হয়, ব্যবহার করা যায় ফ্যান, বিশেষ করে মোবাইল ফোন চার্জ দিতে পারা অনেকটাই স্বস্তি এনে দেয় তাদের জীবনে। বলছিলাম মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কথা। সরজমিনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা সীমান্তের বড়ছনখোলা অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে পলিথিন মোড়ানো প্রতিটি তাবুতে এসব সৌর চালিত বিদ্যুতের সোলার প্যানেল চোখে পড়ে।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যে মূল্যবান বস্তুটি সাথে করে নিয়ে এসেছেন, তা হলো সৌর চালিত সোলার প্যানেল। রাত হলেই নিস্তব্ধ-নিরবতার এই বড়ছনখোলা আশ্রয় শিবিরে সবদিকে আলো জ্বলে। এতে পুরো এলাকাটি খুবই সুন্দর মনে হয়।
রোহিঙ্গা নাগরিক আব্দুর রশিদ ও আব্দুস ছবি জানায়, খুব গরমের সময় ফ্যানের বাতাস আমাদের অনেক স্বস্তি দেয় এবং রাতের বেলায় আমরা আলো জ্বালাতে পারি। এখানে সৌরবিদ্যুৎই দ্যুভরসা। যেহেতু এখানে রাত্রি বেলা আলোকিত করার মত হারিকেন, চেরাগ বা অন্য কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই, তাই অধিকাংশ তাবুতে সোলার প্যানেল ব্যবহার হয়। রান্না-বান্নায় পাহাড় থেকে কুড়িয়ে আনা লাকড়ি ব্যবহার করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা মনে করছে, সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বসবাসের স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ আর পুলিশ ফাঁড়ি নিশ্চিত করা না হলে , রাতের আধারের সুযোগে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ সংগঠিত হতে পারে।

আরও পড়ুন