রুমায় প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

NewsDetails_01

রুমায় প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
বান্দরবানের রুমায় প্রবল বর্ষনের ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ রোববার বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত ৫শ তিন পরিবারকে চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাসুল আলম।
এতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান থাংখামলিয়ান, মহলিা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মারমা ও রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ৫০৩ পরিবারের মধ্যে সম্পূর্ণ ঘর বিধস্থ ১৬ পরিবারকে ৪০কেজি ও বাকী ৪৯৯ পরিবারে প্রতি পরিবারকে ৩০কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এর আগে শনিবার বিকালে রুমা সদর ইউনিয়নের এডেন রোড, লুংঝিরি পাড়া ও রুমা বাজার মারমা লাইনে ৫৮পরিবাবারের মধ্যে এসব ত্রাণ সামাগ্রী উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা থেকে বিতরণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় গত ৭জুলাই থেকে টানা সাপ্তাহ ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে এলাকায় পাহাড় ধস ও বন্যায় ঘরবাড়ি, ধানী জমি, সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফলজ বাগানের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও বন্যায় খামার বাড়িসহ সাঙ্গু নদী উপত্যকায় অবস্থিত সবজি ক্ষেত ও বসতি বাড়িগুলো পানিতে ডুবে তলিয়ে যায়। এসময় গরু-ছাগল ও হাঁস মুরগিসহ গৃহ পালিত অসংখ্য পশুপাখি মারা যায়। এতে বন্যায় কবলিত লোকজন আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। ফলে জনজীবন বিপন্ন হবার উপক্রম শুরু হয়। এসব ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের পাশে এগিয়ে আসে উপজেলা প্রশাসন,শুরু হয় ত্রাণ বিতরণ।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮ পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল আলম। আরো ছিলেন উপজেল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মারমা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল আলম জানান, এপর্যন্ত ১৭০পরিবারকে ত্রাণ সমাগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ক্ষতিগ্রস্তদের বিতরণের জন্য এখনো উপজেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। বিতরণকৃত ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- পরিবার প্রতি চাল ৫কেজি, ডাল-১কেজি, তেল ১লিটার, লবণ-১কেজি, চিনি-১কেজি, চিড়া-১কেজি, মোমবাতি-১ডজন, বিস্কুট -১কেজি ও দিয়াশলাই-১ডজন।
ত্রাণ শাখার সংশ্লিষ্টরা জানায় সম্প্রতি টানা সাপ্তাহ ধরে প্রবল বর্ষনের ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সংগ্রহিত তালিকা অনুযায়ি এ পর্যন্ত উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৮৩৪ পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও মোহাম্মদ শামসুল আলম।

আরও পড়ুন