রাজপূণ্যাহ’য় আসছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

NewsDetails_01

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বান্দরবানের রাজপূণ্যাহ মেলা। আর রাজপূণ্যাহ মেলার রাজকর আদায়ের উৎসব ১৩৯ তম রাজ পূণ্যাহ মেলায় আসছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের স্থানীয় রাজার মাঠে আগামী ২১ ডিসেম্বর কাল থেকে ২৩ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপি শুরু হচ্ছে এই মেলা। উক্ত মেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর,জোন কমান্ডার, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বোমাং রাজা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
মেলাকে ঘিরে জেলার ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মন্ডিত মনোজ্ঞ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ সময় পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মিলন মেলা পরিণত হয়, দেশি- বিদেশী পর্যটকরা ভীর জমায় এ পর্যটন শহরে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রবীণ নেতা হিসাবে রাজার আর্শিবাদ পাওয়ার জন্য দূর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে পাহাড়ীরা রাজ দরবারে এসে ভীর জমান।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্র জানায়, বৃটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করতো। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়।
বান্দরবানের বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর সহকারী অং ঝাই পাহাড়বার্তাকে বলেন, মেলার আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে, অতিথিরা যোগ দিতে বান্দরবানে আসতে শুরু করেছে।
আরো জানা যায়, বর্তমানে রাঙ্গামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল। দুইশত বছরের ঐতির্য্য অনুসারে বছরে একবার এই মেলা আয়োজন করা হয় বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ পাহাড়বার্তাকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রস্তুত আছি আমরা।

আরও পড়ুন