বান্দরবানে নামেই হরতাল

NewsDetails_01

বান্দরবানে হরতালে বাস চলাচল
বান্দরবানে হরতালে বাস চলাচল
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সংশোধিত আইন বাতিল এবং নাগরিক পরিষদের সভাপতি আতিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বান্দরবানে বুধবার সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হলেও মূলত হরতাল ছিলো “নামেই হরতাল”। বাঙালি সংগঠনগুলো গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরতালের লিফলেট বিলি করে হরতাল পালনের বেশ হাকডাক ছাড়লেও স্থানীয়রা মনে করেন, হরতাল ডেকে নেতারাই উধাও। হরতাল আহবানকারী সংগঠনগুলো হলো পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলন পরিষদ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, জাগো পার্বত্যবাসী ও বাঙালি ছাত্র পরিষদ।

হরতালের কারনে সকাল ৭টা থেকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলেও সকাল দশটার পর থেকে সব ধরণের যান চলাচল করে। জেলা শহরের অভ্যন্তরে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল, খোলা ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালত। হরতালের কারণে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকলেও সকাল থেকে কোন পিকেটিং না থাকার কারনে পুলিশের অলস সময় কাটে।

NewsDetails_03

বাঙ্গালী সংগঠনের নেতারা জানান, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন পাশের আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মতামত নেয়া হয়নি, তাই এই আইনের মাধ্যমে কাজ করলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ ও সংঘাত আরো বেড়ে যাবার আশংকা রয়েছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ পাহাড়বার্তাকে বলেন, হরতালে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এর আগে “পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৬” মন্ত্রীসভায় নীতিগত অনুমোদন হওয়া এবং সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ আকারে জারির অপচেষ্ঠার প্রতিবাদে গত ১০ই আগষ্ট ও ৪সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী সংগঠনের ডাকে তিন পার্বত্য জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়।

হরতাল কেমন চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ বান্দরবান শাখার নেতা মো: কামরান ফারুক পাহাড়বার্তাকে বলেন, আমি চট্টগ্রামে আছি, বলতে পারবোনা।

আরও পড়ুন