বান্দরবানের ১৬৭৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের পুলিশি তদন্ত হয়নি : স্থায়ী হচ্ছেনা চাকরি

NewsDetails_01

দীর্ঘ বছরেও বান্দরবানের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত ১ হাজার ৬৭৮ জন প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের চাকরির পুলিশি তদন্ত হয়নি। ফলে এসকল শিক্ষকের চাকরি স্থায়ী করা যাচ্ছেনা। তবে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন দ্রæত সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় কর্তৃক জেলার সকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রোয়াংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা, থানছি উপজেলায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৪৬টি। এসব বিদ্যালয়ে ২৪৪ জন প্রধান শিক্ষক এবং ১৪৩৪ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত¡াবধানে এ সকল শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগকৃত শিক্ষকদের চাকরির কর্মকালীন সময় অনেকের ৫, ১০, ১৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। অনেকের অবসর গ্রহণের সময় হয়েছে। নিয়োগপত্রের শর্তানুযায়ী নির্ধারিত ফরমে আবেদন না করায় পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন হয়নি। ফলে এসকল শিক্ষকদের চাকুরী স্থায়ী করা যাচ্ছেনা।
এদিকে নিয়োগপত্রের এক শর্তানুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার পুলিশি তদন্তের সন্তোষজনক প্রতিবেদন পাওয়া না গেলে চাকরিচ্যুত করা যাবে। আরেক শর্তে বলা হয়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্তৃক যে কোনো সময়ে সরবরাহকৃত যে কোনো তথ্য ও সনদপত্র মিথ্যা/ভুয়া/ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হলে নিয়োগ আদেশ বাতিল এবং প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী তাঁর/তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
লামা উপজেলার নুনারবিল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদ সরওয়ার, আলীকদম উপজেলার শীবাতলী পাড়া মৈত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার চাকরির মেয়াদ ১৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অথচ পুলিশি তদন্তের বিষয়টি আমরা জানতাম না।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরী জানান, পুলিশি তদন্ত না হওয়ায় শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে গত মাসে শিক্ষকদের পুলিশি তদন্তের জন্য জেলা থেকে নির্দেশনা এসেছে। সে মতে বিদ্যালয় ওয়ারি শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে জমা করার দির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ বছরেও শিক্ষকদের পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন না হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য জেলার সকল উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে বিদ্যালয় ওয়ারী ফাইল তৈরি করে জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন