বান্দরবানের পাহাড় ধসের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ৪ জন

NewsDetails_01

বান্দরবানের পাহাড় ধসের উদ্ধার অভিযান
তিন দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সড়ক পথের দলিয়ান পাড়া এলাকায় গত রোববার সড়কের উপর পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৪জন। নিখোঁজ রয়েছে সিংমেচিং (১৭), উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মুন্নি বড়ুয়ার (৩৫), কৃষি ব্যাংক রুমা শাখার কর্মকর্তা গৌতম কুমার নন্দী (৫৫) রুমার ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার রবিউল।
আরো জানা গেছে, রোববার জেলার রুমা উপজেলার বাসিন্দা চিংমেহ্লা মারমা (১৯) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হলেও আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর জেলার দমকল বাহিনীর সদস্য, সেনা সদস্য ও রেডক্রিসেন্ট এর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালালেও রোববার সন্ধ্যায় বান্দরবানে থেমে থেমে বৃষ্টি ও আলো সল্পতার কারনে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়। সোমবার সকাল থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করে, তবে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের কারনে উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।
নিহত চিংমেহ্লা মারমার পরিবারকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, অন্যদিকে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি নির্দেশ দিয়েছেন।
নিখোঁজ মুন্নি বড়ুয়ার ভাই মোহনা টেলিভিশনের বান্দরবান প্রতিনিধি রাহুল বড়ুয়া ছোটন বলেন, সকাল থেকে সেনা সদস্য ও দমকলকর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালালেও বৃষ্টির জন্য উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
সোমবার সকালে উদ্ধার কার্যক্রমে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এদিকে তিনদিনের টানা বর্ষণে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া এলাকার সড়ক বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারনে এবং বান্দরবান রাঙামাটি সড়কের পলুপাড়া এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারনে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ বলেন, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে, উদ্ধার অভিযান সম্পর্ন হবার কতজন মারা গেছে তা জানাতে পারবো।

আরও পড়ুন