সূত্রে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি একাধিক জরিপের মাধ্যমে দেশের সংসদীয় আসনের দলীয় প্রার্থীদের নামগুলো বাছাই করার পর একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে দেড়শ আসনে মনোনয়নের বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করতে বলা হয়েছে দেড়শজন প্রার্থীকে। তার মধ্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এই ব্যাপারে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী বলেন,সব সময় প্রধানমন্ত্রীর গুড বুকে আছে বলেই তিনি ৫টি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ মন্ত্রী পরিষদে স্থান পেয়েছেন।
কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারী ভাবে আগামী নির্বাচনে আসন ভিত্তিক একাধিক জরিপ করা হয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, প্রশাসন, জেলা পুলিশ, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা, দলীয় বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে জরিপগুলো চালানো হয়েছে। সব জরিপের ফল একসঙ্গে বিশ্লেষণ করে কিছু আসনের প্রার্থী প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জনপ্রিয়তা, ভালো ইমেজ, দূনীর্তি মুক্ত, এলাকায় সবচেয়ে বেশি সময় দেওয়া, বিতর্কিত কর্মকান্ড মুক্ত, সর্বোপরি জেলার তৃনমূলের চাহিদা ও জেলা আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় একক প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেবার কারনে টানা ৫বার নির্বাচিত সংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ৩০০ নং আসনের টিকেট পাচ্ছেন।
এই ব্যাপারে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ পাহাড়বার্তাকে বলেন, দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ১০জন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য থাকলে তাদের মধ্যে বীর বাহাদুর একজন। সাধারণ জনগনকে বীর বাহাদুরের মতো সময় বেশি কেউ দেয়নি, উনার দূর্নাম নেই। তিনি আরো বলেন, বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সদস্যদের মধ্যে নেত্রীর কাছে ভালো মন্ত্রী হিসাবে সমার্ধিত বীর বাহাদুর, সব মিলিয়ে নেত্রীর আস্থাভাজন, তাই তিনি গুডবুকে আছেন।
আরো জানা গেছে, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ৩০০ নং বান্দরবান আসন থেকে বর্তমান সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিংকে আবারো মনোনয়ন দিয়েছে। গত ২৬ জুলাই বান্দরবান শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃনমূলের দাবীর প্রেক্ষিতে সর্ব সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। কাউন্সিলে সহ-সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী এবং জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসরা বক্তব্য দেন।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর পাহাড়বার্তাকে বলেন, বীর বাহাদুরের বিকল্প নেই, তিনি পাঁচবার নির্বাচিত হওয়ার কারনে নেত্রী ও জনগনের কাছে পরিক্ষীত নেতা হিসাবে অগ্রভাগে আছে, তিনিই দলের প্রার্থী। তিনি আরো বলেন, বীর বাহাদুর নেত্রীর আস্থাভাজন এবং পার্বত্য জেলায় নেতৃত্বের কারনে তিনবার কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক করেছেন।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বান্দরবানের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। জেলার দূর্গম এলাকার দৃশ্যমান উন্নয়ন করায় কোন প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির কালিমা বীর বাহাদুরের নামের পাশে না থাকা, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করায় আগামী নির্বাচনে বীর বাহাদুরকে আস্থাবান মনে করছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার গুডবুকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে দেশের সর্বশেষ বান্দরবান ৩০০ নং আসনের ৫বারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।
