পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর শক্তিশালী নেতৃত্বে বান্দরবানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে : জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন

NewsDetails_01

লামায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেছেন, শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা হলো উন্নয়নের পূর্ব শর্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে বান্দরবান একদিকে যেমন অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং সম্পদে ভরপুর। অপরদিকে ১১টি জাতিগোষ্ঠির বৈচিত্রময় জীবন যাপন প্রণালীর মেলবদ্ধ এবং সম্প্রীতির অমোঘ বন্ধনে সমৃদ্ধময়। আজ রবিবার দুপুরে লামা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জন প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশাজীবির সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আগের বান্দরবান, আর এখনের বান্দরবানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর থেকে সরকারের আন্তরিকতায় পাহাড়ে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমানেও উন্নয়ন কাজ চলছে। এলাকাবাসীর ভোটে পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র সুযোগ্য ও শক্তিশালী নেতৃত্বের কারনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য রক্ষার স্বার্থে পাহাড়, পাথর, বৃক্ষ, নদী, নালা, খাল, বিল ও বালু ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় প্রশাসন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া ও শারাবান তহুরা, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ, মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, জাকের হোসেন মজুমদার, ছাচিং প্রæ মার্মা, মো. ফরিদ উল আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া অতিথি ছিলেন।
সভায় উপস্থিত জনসাধারণ সরকারের উন্নয়ন, এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা, নিরাপত্তা, পর্যটন বিকাশ, সাম্প্রদায়িক সম্পৃীতি, ভূমি সমস্যা, স্বাস্থ্য-শিক্ষা সেবার মান বৃদ্ধি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সমস্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার আশ্বাস দেন। এছাড়া এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার অবস্থা উন্নতির লক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন প্রস্তাবিত স্থানে নতুন সেনা ও পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
এর আগে জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন লামা পৌরসভা, মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজ, থানা, ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। সভা শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে একটি বৃক্ষ রোপন করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, লামা হাসপাতাল, ১টি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নুনারবিল সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

আরও পড়ুন