নাইক্ষ্যংছড়িতে আধুনিক পদ্ধতিতে বসতভিটায় সবজি চাষের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

NewsDetails_01

নাইক্ষ্যংছড়িতে আধুনিক পদ্ধতিতে বসতভিটায় সবজি চাষ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ও ঘুমধুম ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক আধুনিক পদ্ধতীতে বসতভিটার আঙ্গীনায় শীতকালীন সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং সবজি বীজ প্রদান প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশিক্ষণ ও বীজ প্রদানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কক্সবাজার সলিডারিটিস ইন্টারন্যাশনাল এবং বাস্তবায়নে ছিলেন ”গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস)”।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ফুইট্টাঝিরি এলাকায় ছুরুত আলমের বসতভিটায় প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্টানে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার এসএস সরওয়ার কামাল।
প্রধান অতিথি বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ করলে অধিক উৎপাদন হবে তাই অধিক সবজি ফলনে আধুনিক পদ্ধতির বিকল্প নেই। বিশেষত শিশুদের টাটকা পুষ্টির যোগান আমরা এখান থেকেই পেতে পারি। যেহেতু ক্যামিকেল মুক্ত, তাই শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এটি যেমন সাশ্রয়ী এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে, তেমনি বেশি শস্য উৎপাদিত হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অলক দাশ, গ্রাউস প্রকল্প সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মাইকেল মন্ডল, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ন সা:সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, কৃষি উপ সহকারি কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম রাজীব, মংচিং থোয়াই চাক্ , সদর ইউপি সদস্য মিসেস জুহুরা বেগম, কৃষক ছুরুত আলম প্রমূখ।
আগত কৃষক কৃষাণিদের মাঝে কৃষি উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অলক দাশ বলেন, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির উৎপাদন কৌশল, রোগবালাই দমন, জৈব কীটনাশকের ব্যবহার, জৈব সারের ব্যবহার, কুমড়া জাতীয় ফসলে সেক্স ফেরোমন ব্যবহার প্রভৃতি বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণের পর্যালোচনা করা হয়। এই প্রশিক্ষণে উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ভাল্লুখ্যাইয়া , প্রদানঝিরি ও ফুইট্টাঝিরি এলাকার ৩ ব্যাচের ৫০জন কৃষক কৃষাণী এবং ঘুমধূম ইউনিয়নের ভ‚মিহীন পাড়া, তুর্মরু বাজার পাড়া ও আমতলী পাড়ায় ৩ ব্যাচে ৫০জন কৃষক কৃষাণী মোট ১০০ জন কৃষাণি অংশ নেয়।
প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি এসএম সরওয়ার কামাল ১০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে সাত ধরনের সার ও সেক্স ফেরোমনসহ শীতকালীন সবজির বীজ যথা লাল শাক, ডাটা শাক, পালং শাক, মূলা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া প্রভৃতি সবজির বীজ তুলে দেয়া হয়। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন নাইক্ষ্যংছড়ি কৃষি উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অলক দাশ ও উপসহকারি শিমুল কান্তি বড়ুয়া। তাদের সহায়তা করেন গ্রাউসের মাঠ কর্মী (এসফ) সালমা আক্তার এবং চোমিও মার্মা।

আরও পড়ুন