দুর্গম পাহাড়ের সফল জননী ওয়ানুচিং মারমা

NewsDetails_01

ওয়ানুচিং মারমা
মাত্র ১৭ বছর বয়সে মা-বাবার ভালবাসা ছেড়ে স্বামীর ঘরে চলে যেতে হয়েছে। লেখা পড়া করার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও পিতা মাতা হত দরিদ্র, তাই তখনকার সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনেক দূরে অবস্থানের কারনে স্কুলের গন্ডিতে পৌছতে পারেনি। স্বামীর ঘরে যাওয়ার পর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জুম চাষ শুরু করেন, পাশাপাশি বাড়ীতে গরু-ছাগল, হাঁস মুরগী,শুকর,কবুতর ইত্যাদি পালন করেন জীবন যুদ্ধে নেমে পড়েন। এরি মধ্যে বিয়ের ৮ বছরের মাথায় ৪ সন্তান জননী হলেন । নিজের জয়ী হতে না পারলেও সন্তানদের অবশ্যই জয়ী হতে হবেই, সে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। প্রথম ও শেষ সন্তানকে স্কুলে পাঠানো শুরু করেন এবং জীবন যুদ্ধে নতুন ভাবে জড়িয়ে পরেন তিনি। এটি একটি সাহসী সফল জননী ওয়ানুচিং জীবনের গল্প ।
সামাজিক প্রতিবন্ধকতার ও হত দরিদ্র হওয়ার কারেন স্কুলে যেতে পারেনি । তবে লেখা পড়া করার প্রবল ইচ্ছে, পরিবারের ছেলে সন্তানদের মতো বাড়ীতে পড়া শুরু করেন, এভাবে বাল্য শিক্ষা ও ৫ম শ্রেণির পর্যন্ত পড়েন। তিনি ১৯৫৫ সালে বান্দরবান জেলার কুহালং ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন । তার দরিদ্র পরিবারের জুম চাষ এই ছিল পরিবারের উপার্জন। ১৯৬৭ সালে অজপাড়া গাঁয়ের একজন জুমচাষী সাথে বিয়ে দেন তার পরিবার । ৪৫ বছর বয়সে ফিরে আসেন শ্বশুরালয়ে মগক পাড়া (বর্তমান) বান্দরবান জেলার থানছি হেডম্যান পাড়া হিসেবে পরিচিত । তার জীবনে সব ভাবনা ছিল সন্তানদের নিয়ে নিজের সুখের কথা একবার ও ভাবিনি । একটা পর একটা লড়াই করতে হয়েছে ওয়ানুচিংকে ।
স্বামীকে সু-পরমর্শ দিয়ে তার বড় সন্তান স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে থানছি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইউপি সচিব হয়ে দেশ সেবা করছেন । ২য় ছেলে এসএসসি শেষ করে কৃষি কাজের নিয়োজিত। ৩য় ছেলে থানছি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োজিত হয়ে দেশের সেবা করছেন। ৪র্থ ছেলে সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সমাপ্ত করে বর্তমানে একই কলেজে অনুশীলন করছেন । ৫শ ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রয়েছেন ।

আরও পড়ুন