তিনি অসহায় মানুষের পরম বন্ধু : রুমায় এম,এন লারমা‘র ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তারা

NewsDetails_01

রুমায় এম,এন লারমা‘র ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা
রুমায় এম,এন লারমা‘র ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা
এম,এন লারমা এদেশের মেহনতি, অসহায় ও নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পরম বন্ধু। সাংসদ হিসেবে তখনকার জাতীয় সংসদে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্মজাতি নিয়ে তিনি কথা বলেননি, বলেছিলেন সারা দেশের ক্ষেটে খাওয়া মানুষের অধিকারের কথা। এম,এন লারমা জুম্মজাতি আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় জাগ্রত এক অগ্রদূত নেতা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা জনসংহতি সমিতি সহ-সাধারণ সম্পাদক অংথোয়াইচিং মারমা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাংসদ ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জম্ম জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে স্থানীয় বম কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে অংথোয়াইচিং মারমা বলেন, বান্দরবান জেলার জেএসএস এবং অঙ্গসংগঠনের আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জনসংহতি সমিতি‘র অধিকার আদায় আন্দোলনকে ধ্বংস করে দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে, এ ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবেনা। তিনি আরো বলেন, জেএসএসের আন্দোলণের কারণে ১৯৯৭ সালে সরকার শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও পার্বত্য জুম্মজাতির মুক্তির আন্দোলনে যেকোনো কর্মসূচিতে শরীক হয়ে অংশ নিতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।
এম,এন লারমা‘র ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রুমায় শোক শোভাযাত্রা
এম,এন লারমা‘র ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রুমায় শোক শোভাযাত্রা
জনসংহতি সমিতি উপজেলা শাখার সভাপতি লুপ্রু মারমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন, পার্বত্য মহিলা সমিতি সভাপতি রেমএংময় বম, উপজেলা জেএসএসের সহসভাপতি মংশৈপ্রু খিয়াং, রুমা থানা শাখার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মংমিন মারমা প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জনসংহতি সমিতি উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি থোয়াইসানু মারমা, পান্তলা মৌজা হেডম্যান নুমলাই ম্রো, পাইন্দু মৌজা হেডম্যান মংচউ মারমা, মেননিয়াম ম্রো ও মংবাউ কারবারী প্রমুখ। জেএসএস রুমা শাখার সম্পাদক মংমংসিং মারমার উপস্থাপনায় শোকবার্তা পাঠ করেন সহ-সভাপতি ক্যসা প্রু মারমা।
এর আগে কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গন থেকে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি বের হয়। রুমা বাজারসহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে সমাবেত হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন পাড়ার লোকজন স্বত: স্ফূর্ত অংশ নেয়। পরে এম,এন লারমা‘র প্রতিকৃতিতে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যায় এম,এন লারমা‘র আত্মা শান্তি কামনা করে ফানুস বাতি উড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে ১০ নভেম্বর দিবাগত রাতে পার্টির কিছু উচ্চাবিলাসী ও ক্ষমতালোভীদের এক বিশ্বাসঘাতকতামূলক সশস্ত্র আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে আটজন সহযোদ্ধাসহ শাহাদাৎ বরন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা।

আরও পড়ুন