আ.লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে রোয়াংছড়িতে পাহাড় কেটে ইটভাটা

NewsDetails_01

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় বিশাল পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটা তৈরির কাজে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় বিশাল পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটা তৈরির কাজে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় বিশাল পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটা তৈরির কাজে। ইটভাটার মালিক আওয়ামীলীগ নেতা, আর এই দলীয় প্রভাবেই ‘এবিএম’ ইটভাটাটির জন্য কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বান্দরবান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মিলন রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই ভাটাটির পাশের একটি পাহাড় কাটছে এবিএম ইট ভাটার মাটির জন্য। প্রতিদিন ৬-৭জন শ্রমিক দিনেরাতে সমান তালে পাহাড় কাটার কাজে কাজ করছে। এই ভাটার মাটি সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে স্কেভেটরসহ ভারী যন্ত্রপাতি। পাহাড় কেটে মাটি মজুদ করা হচ্ছে ইট ভাটাটির প্রাঙ্গনে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে ভাটার কাঁচা ইট।
আরো জানা গেছে, প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আসলেও তাদের রহস্যজনক নিস্ক্রিয়তায় অবাধে পাহাড় কাটায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রশাসনের নিরবতায়। গত রবিবার সকালে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা ওমর আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ছাইংগ্যা এলাকার এবিএম ইটভাটার জন্য পাহাড় কাটার দৃশ্যটি সরেজমিন তদন্তে গেলেও সেখানে পাহাড় কাটার কোন লক্ষণ তিনি দেখতে পাননি বলে জানান।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় বিশাল পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটা তৈরির কাজে।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় বিশাল পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটা তৈরির কাজে।
স্থানীয়রা অনুমোদনহীন এবিএম ইটভাটার জন্য ছাইংগ্যায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধংস করার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে দফায় দফায় অভিযোগ জানানো সত্বেও পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসন থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত কোন উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এবং বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ আইন (১৯৫২) অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন পাহাড় কাটা যাবেনা। কিন্তু এক্ষেত্রে অনুমোদনহীন ইট ভাটাটির জন্য প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা হলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এই ব্যাপারে ইটভাটাটির মালিক মনিরুজ্জামান মিলন বলেন,অল্প কিছু মাটি কেটেছি,এখন মাটি কাটা বন্ধ আছে।
রোয়াংছড়ির ছাইংগ্যা এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা বন্ধের জন্য কোন উদ্যোগই নেই সরকারি কর্মকর্তাদের। সাধারণ মানুষ একটি বাড়ী করতে যেখানে মাটি কাটার অনুমতি পায় না সেখানে ইটভাটার জন্য প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা কোন আইনে পড়ে তা বোধগম্য নয়।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক জানান, অবৈধ পাহাড় কাটার বিষয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন