সংস্কার হয়নি বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক

NewsDetails_01

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের বেহাল দশার কারনে সড়কটি এখন মরনফাঁদ। দীর্ঘ ২২ কি.মি. সড়কটিতে ৪৪ টিরও অধিক পরিমাণ গর্ত রয়েছে, ফলে কাদা মাটি মাড়িয়ে চলছে যানবাহনগুলো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ উক্ত পাকা সড়কটি কোন ধরণের সংস্কার না করায় এবার বর্ষা শুরুতেই সড়কের ঈদগাঁও ভুমুরিয়া ঘোনা নামক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সরাসরি গাড়ি নিয়ে ঈদগড়-বাইশারী আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন।
বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে মিনিবাস মালিক সমিতির ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, সড়কের অধিকাংশ স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে যেকোন মুহুর্তে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে তিন ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির জনবহুল এলাকা বাইশারী বাজার, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের হিমছড়ি ও টাইম বাজার এবং ঈদগড় ইউনিয়নের ঈদগড় বাজারের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে বাইশারী বাজার অচল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন বাইশারী বাজার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর।
আরো জানা গেছে, বান্দরবান জেলার অধীনে ৮ কি.মি. ও কক্সবাজার জেলার অধীনে ১৪ কি.মি. সড়কটি দীর্ঘ আট বৎসর যাবৎ মেরামত না করায় বর্তমানে খান খন্দে ভরা। অধিকাংশ ব্রিজ কালভার্ট মাঝখানে ফাটলসহ ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে পুরো সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনা আশঙ্কাসহ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহনগুলো।
ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদ ভূট্টো বলেন, সড়কের ১৪ কি.মি. রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, তবে বাকী রাস্তাটি বান্দরবান জেলার অধীনে।
তিন ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক বর্ষা আসার আগেই করুন দশায় পরিণত হয়। এই তিন ইউনিয়নের বসবাসকারী পাহাড়ি-বাঙ্গালী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনের উৎপাদিত রবি শষ্য ছাড়াও দেশের সর্ববৃহৎ রাবার উৎপাদনশীল এলাকা হিসেবে পরিচিত বান্দরবানের বাইশারী। এসব পণ্য রপ্তানি না হলে হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে, পাশাপাশি সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভারগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাইল মিয়া জানান,কাগজপত্র দেখে সড়কটি কার বলা যাবে, তবে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন।

আরও পড়ুন